অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রকাশকের শুভেচ্ছা

যুক্তির সাথে আলোর পথে

এক এক করে আটটি বছর পার করে, পাঠকের হাত ধরে বাংলা ট্রিবিউন এখন নবম বছরের পথে। পরিণত পত্রিকা হিসেবে দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি— সঠিক সংবাদটি সবার আগে পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে। দিনে দিনে পাঠকের আকাঙ্ক্ষা যেমন বেড়েছে, তেমনই পত্রিকার কর্মীদের দায়িত্ববোধও বেড়েছে।

২০১৪ সালের ১৩ মে যাত্রা শুরু হয়েছিল, এই যাত্রায় যে, নানান চড়াই-উৎড়াই থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। আমরা আমাদের একনিষ্ঠতা দিয়ে সেসব বাধা পার হয়ে আগামীর স্বপ্ন দেখি। আমাদের শক্তি— বাংলা ট্রিবিউন কোনও কুসংস্কারে বিশ্বাস করে না। ১৩ সংখ্যাটিকে দুর্ভাগ্যের দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমরা সেই ভীতি, সেই সংশয়, সেই কুসংস্কার ভাঙতে ভাঙতে এগিয়ে চলেছি।

বাংলা ট্রিবিউন তার জন্মলগ্ন থেকেই চেষ্টা করছে সুষ্ঠু সাংবাদিকতা করতে। আমরা চলি যুক্তির পথে। আলোর পথে। সবসময় মনে রাখি, আমাদের নামের মধ্যে বাংলা আছে। বাঙালি সংস্কৃতি, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং যে চেতনায় সে আন্দোলন চালিত হয়েছে, তার উত্তরসূরি হিসেবে আমরা ঐতিহ্য নিয়ে গর্বের সঙ্গে যুক্তির পথে আগামীতেও এগিয়ে চলবো, এই আশা রাখি। এ পথচলায় সবাই সাহস জোগাবেন, এই কামনা রইলো।

এই পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তা পাওয়ার অন্যতম কারণ— এখানে সংবাদের সত্যতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্বসহ সংবাদের গুরুত্বকেও প্রাধান্য দেওয়া হয়। চটকদার খবর দিয়ে ক্লিক আদায়কে কখনোই পুঁজি করেনি বাংলা ট্রিবিউন। ফলে দিনে দিনে করেছে পাঠকের আস্থা অর্জন। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া এবং এটা ধরে রাখাই আমাদের অন্যতম অভীষ্ট। এ সবই সম্ভব হয়েছে আমাদের তরুণ সম্পাদকের বিচক্ষণতা, নিষ্ঠা ও নিরলস প্রচেষ্টায়। জুলফিকার রাসেল তার একঝাঁক তরুণ সাংবাদিককে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন সুস্থ ধারার সাংবাদিকতার পথে। সে পথ সহজ নয়। তবে সততা আর সদিচ্ছা তাদের আগামীর পথচলা আরও মসৃণ করবে, সে বিশ্বাস আমার আছে।

আমরা গত দুই বছর করোনাকাল পার করেছি। এরইমধ্যে বিশ্বজুড়ে সবক্ষেত্রে নানা অসঙ্গতি তৈরি হয়েছে। আমরা আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টিকা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছি। তাদের পরিবারের সদস্যরা আমাদের ওপর যে আস্থা রেখেছেন, সেজন্য তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।

এই সময়ে কোনও প্রকার সংবাদমাধ্যমই চলতে পারে না, বিজ্ঞাপনদাতাদের সমর্থন ছাড়া। এক্ষেত্রে যারা আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আছেন, তাদের প্রতিও জানাই বিশেষ কৃতজ্ঞতা। আর যারা নতুন যুক্ত হচ্ছেন, তাদের জানাই উষ্ণ অভ্যর্থনা। বাংলা ট্রিবিউন এখন একটি বড় পরিবার এবং সবার সহৃদয় সহযোগিতায় আমরা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে সমুন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার চেষ্টায় সবসময় নিযুক্ত থাকবো, এই প্রত্যাশায় একসঙ্গে পথচলা অব্যাহত থাকুক। সেটাই হোক আজকের দিনের অঙ্গীকার।

কাজী আনিস আহমেদ

প্রকাশক, বাংলা ট্রিবিউন