ইডির নজরে পি কে হালদারের বান্ধবী আমানা

ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) নজরে আছেন বাংলাদেশে হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ মামলার মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বান্ধবী আমানা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদার। তাকে জেল হেফাজতে রেখে আলাদা করে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন ইডির গোয়েন্দারা।

মঙ্গলবার চার দিনের রিমান্ড শেষে প্রশান্ত কুমার হালদার, তার ভাই প্রীতিশ হালদার, প্রণব হালদার, বাংলাদেশের বাসিন্দা স্বপন মৈত্র ও উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেনকে ফের তদন্তের স্বার্থে আরও ১০ দিনের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে ইডি। আমানা ওরফে শর্মিকেও ১০ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

এদিন কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের এক নম্বর ইডির বিশেষ আদালতে বিচারক মাসুদ হোসেন খানের এজলাসে অভিযুক্তদের হাজির করেন তদন্তকারীরা। মামলার শুনানিতে অভিযুক্তদের তরফে আইনজীবী শেখ আলি হায়দার, সোমনাথ ঘোষরা জামিনের আবেদন জানান।

সেটার বিরোধিতা করেন ইডির তরফে আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘এদের বিরুদ্ধে বিরাট আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। যার জাল বিস্তৃত প্রতিবেশী দেশেও (বাংলাদেশ)। এখুনি এরা ছাড়া পেয়ে গেলে তদন্তে তার প্রভাব পড়বে।’ আদালতের কাছে তদন্তের স্বার্থে পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের আরও দশ দিনের ইডি-রিমান্ডের আবেদন করেন ইডির আইনজীবী। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে প্রশান্ত কুমার হালদার, তার ভাই প্রীতিশ হালদার, প্রণব হালদার, বাংলাদেশের বাসিন্দা স্বপন মৈত্র ও উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেনকে দশ দিনের ইডি রিমান্ড ও আমানা সুলতানাকে দশ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

আমানা জেল হেফাজতে থাকলেও তাকে তদন্তের স্বার্থে ইডির গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন বিচারক।

এছাড়াও বিধাননগরের মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ইডির বিশেষ আদালত নির্দেশ দেন, ৪৮ ঘণ্টা পর পর অভিযুক্তদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।

জানা গেছে, পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্যও পাওয়া গেছে। তাদের কাছ থেকে একাধিক দেশের পাসপোর্ট, কয়েকটি মোবাইল ফোন ও অনেক সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ভারতের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি, জমির দালাল ও ব্যাংক কর্মকর্তার নাম পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর লেনদেনও পরীক্ষা করে দেখা হতে পারে তদন্তের স্বার্থে।

পাশাপাশি আমানা ওরফে শর্মির মাধ্যমে কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।