বিএফসিসি-তে কাস্টমকে প্রবেশে বাধা, ৮ কেজি সোনা উদ্ধার

বাধার মুখেও দিনভর চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার থেকে (বিএফসিসি) আট কেজি পরিমাণ সোনার বারসহ বিমানের এক কর্মীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা কাস্টম হাউস। এর আগে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিএফসিসি-তে প্রবেশ করতে গিয়ে কর্মকর্তাদের বাধার মুখে পড়ে কাস্টম। তবে বাধা উপেক্ষা করে দিনভর কৌশলী পদক্ষেপ নিয়ে সফল হন তারা।

জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উত্তর পাশে বিমানবন্দরের সঙ্গে লাগোয়া ভবনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাটারিং সেন্টার। যেখানে বিমানের ফ্লাইটের খাবার রান্না করে সরবরাহ করা হয়। ভবনটি বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টার বা বিএফসিসি নামে পরিচিত। বিমানবন্দরের সঙ্গে যুক্ত থাকায় বিএফসিসি থেকে বিমানবন্দরের এপ্রোন এলাকায় প্রবেশ করা যায়। এক্ষেত্রে বিএফসিসি’র কর্মীদের প্রবেশে বিমানের নিরাপত্তা কর্মীরা তল্লাশি করে থাকেন। সেখানে এভিয়েশন সিকিউরিটি কিংবা কাস্টমসের কোনও তল্লাশির সুযোগ নেই। সেখানে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে বিএফসিসি-র কর্মীদের কাছ থেকে এবং প্রতিষ্ঠানটির গাড়ি থেকে সোনা উদ্ধারের ঘটনাও ঘটেছে। 

ঢাকা কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মো. সানোয়ারুল কবীর বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল, দুবাই থেকে আসা একটি ফ্লাইটে সোনার চালান আসবে। বিএফসিসি-র প্যান্ট্রিম্যান মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ আকন্দ দুবাই থেকে আসা সোনার চালান নিয়ে বের হবে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা দুপুর ১টার দিকে বিএফসিসি-তে প্রবেশ করতে গেলে বাধার মুখে পড়ি। সেখানে আমাদের কোনোভাবেই প্রবেশ করতে দেননি সেখানকার কর্মকর্তারা।

সানোয়ারুল কবীর বলেন, বাধার মুখে পড়লেও আমরা অভিযোগ থেকে সরে যাইনি। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) সহায়তা নেওয়া হয়। একইসঙ্গে বিমানবন্দরের বিএফসিসি-র দুপাশের গেটেই নজরদারি রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে ৩টার দিকে বিএফসিসি’র কর্মকর্তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। তখন বিএফসিসি’র কর্মকর্তাদের সন্দেহভাজন বিমান কর্মীর নাম বললে তারা জানান, তারা (সন্দেহভাজন কর্মী) শিফট শেষ করে চলে গেছে।

কিন্তু রাত ৮টা নাগাদ বিএফসিসি-র পেন্ট্রিম্যান মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ আকন্দ এপ্রোন এলাকা থেকে বিএফসিসি-তে ঢোকার চেষ্টা করেন। এসময় তাকে হাতে-নাতে আটক করা হয় বলে জানান সানোয়ারুল কবীর। তিনি বলেন, ‘সেখান তার শরীরে কালোটেপ মোড়ানো অবস্থায় সোনার বারের চালানা পাওয়া যায়। আনুমানিক ৮ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের সন্দেহ, এ চোরাচালানে বিএফসিসি-র কর্মকর্তারাও জড়িত থাকতে পারে। আমরা এ বিষয়ে কাস্টম আইনে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’