সৌদি আরবের মদিনা থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগামী বিমানের একটি ফ্লাইট ‘নোটাম’ (নোটিশ টু এয়ারম্যান) না অনুসরণ করায় তার গন্তব্য পরিবর্তন করা হয়েছে। ফ্লাইটটিকে ঢাকা থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়েছে। তবে এটিকে পাইলটের ভুল মনে করছে না বিমান কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষের দাবি, নির্ধারিত সময়ের আগে উড্ডয়ন করে ‘নোটাম’ এড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন পাইলট। কিন্তু তা এড়ানো যায়নি। আর এ কারণে সিলেটে অবতরণ করতে হয়েছে। গুণতে হয়েছে অতিরিক্ত ল্যান্ডিং চার্জ।
সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার মদিনা থেকে ঢাকার শাহজালালগামী বিমানের ফ্লাইট বোয়িং ৭৭৭ শাহজালালের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু রওনা হওয়ার আগে ওই দিন অর্থ্যাৎ বুধবার ১১টা ৪৫ মিনিট থেকে ১২টা ৪৫ মিনিট এই এক ঘণ্টা ‘নোটাম’ (রানওয়ে বন্ধ) এলার্ট জারি করে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। এটা জানার পর সংশ্লিষ্ট ফ্লাইটের পাইলট নির্ধারিত সময়ের ১৬ মিনিট আগেই ফ্লাইট উড্ডোয়ন করেন।
সূত্র জানায়, পাইলট ‘নোটাম’ এড়ানোর জন্য ওই সময় রওনা দিলেও তিনি তা এড়াতে ব্যর্থ হন। পরবর্তী সময়ে তিনি ফ্লাইটটি সিলেটে অবতরণ করান। এরপর নো টাম এলার্ট শেষ হলে সিলেট থেকে আবার রওনা দিয়ে তিনি আবার শাহজালালে এসে অবতরণ করেন। আর এ কারণে অতিরিক্ত ল্যান্ডিং চার্জ দিতে হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে।
এদিকে এ বিষয়ে বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটি স্বাভাবিক ঘটনা। পাইলট চেষ্টা করেছিলেন নোটাম এড়াতে। কিন্তু না পারার কারণে তিনি সিলেটে অবতরণ করেছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক সময় বিমানের ভেতরে কোনও যাত্রী অসুস্থ হলেও তো আমাদের কাছের কোনও বিমানবন্দরে অবতরণ করতে হয়। সেখানে আমাদের চার্জ দিতে হয়। এক্ষেত্রে যেহেতু শাহজালালে ওই সময়ে বিমান ওঠা-নামা বন্ধ ছিল, তাই কাছাকাছি অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করতে হয়েছে। এক্ষেত্রে চার্জ লাগবে, সেটি বিমান কর্তৃপক্ষ দেবে।
বিমানের পাইলটের ভুলের কারণে চার্জ দিতে হলো কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আমরা মনে করছি না। মদিনা থেকে যদি পরেও রওনা দিতো তবুও সেখানে চার্জ দিতে হতো। ওই চার্জ এড়ানোর জন্য তিনি ১৬ মিনিট আগে রওনা দিয়ে চেষ্টা করেছেন এখানকার এলার্টের আগে অবতরণ করতে। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ তার ভুল দেখছে না।