এ আন্দোলনে কোনও শ্রমিক জড়িত নয়: শাজাহান খান

বেতন-ভাতার দাবিতে মিরপুর-১০ নম্বরে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সড়ক অবরোধের ঘটনা নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক শাজাহান খান উপস্থিত ছিলেন।

রবিবার (৫ জুন) রাজধানীর বিজয় নগরে শ্রম ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় তিনি বলেন, এ আন্দোলনের সঙ্গে কোন শ্রমিক জড়িত নয়, সেখানে জিনস প্যান্ট পরা লাঠি হাতে যারা আন্দোলন করছে তারা শ্রমিক হতে পারে না। আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে পণ্ড করার দুরভিসন্ধি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্র এই ষড়যন্ত্র করছে। এটি তাদের রাজনৈতিক আন্দোলন।

‘যে কারখানা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ঠিক মতো দেয় না, এরকম ঘটনা যদি ঘটে, শ্রমিকরা আন্দোলন করবে— এটা স্বাভাবিক। আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি— ওখানে কারা কী করছে। যদি এ ধরণের কিছু ঘটে— তাহলে সেটি নিয়ে অবশ্যই সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলব। সড়কে এখনও যদি কোন গার্মেন্টসকর্মী থাকে, তাদেরকে কারখানায় ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করবো।

এসময় তিনি বলেন, আগামীকাল এখানে আরও বড় পরিসরে মিটিং হবে। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের আগে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত মজুরি বোর্ড অনুসারে ৫ বছর পরপর শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়বে। সে মেয়াদের আগে কিছু করার যাচ্ছে না। তবে আগামী বছরের জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে সরকার একটি ইতিবাচক ধারনা দেবে। কারণ হলো, শুধু গার্মেন্টস শ্রমিক নয়, দেশে আরও শ্রমিক আছে। মজুরি বোর্ড গঠনের সময় সব ধরনের শ্রমিকদের বিবেচনায় নিতে হবে।

সভায় কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মাসুদ উজজামান উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: মিরপুরে সড়ক অবরোধ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা