৬ দফার মাধ্যমেই স্বাধীনতার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল

বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা। এই ছয় দফার মাধ্যমেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মঙ্গলবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে ঐতিহাসিক ছয় দফা নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা এসব কথা বলেন। ৬ জুন ছয় দফা দিবস। এদিন সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দিনটি নিয়ে বক্তব্য দেন সরকারি ও বিরোধী দলের পাঁচ জন সংসদ সদস্য।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয় দফার সিঁড়ি বেয়ে ধাপে ধাপে স্বাধীনতার পথে এগিয়েছে বাংলাদেশ। ছয় দফা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার রিহার্সেল। ওই সময়কার আন্দোলন সংগ্রাম, বঙ্গবন্ধুর কারাবরণের ইতিহাস তুলে ধরে তোফায়েল বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের পরামর্শ নিতেন। সে মোতাবেক এগিয়ে গেছেন।

সরকারি দলের আমির হোসেন বলেন, ছয় দফা ঘোষণার পর ১৫–২০টি সভা করার পর বঙ্গবন্ধু একদিন তাদের বলেছিলেন, ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা দেশে ছয় দফার পক্ষে জোয়ার তৈরি করেছিলেন। সেই সঙ্গে ছয় দফার বিবরণী পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হতে শুরু করলে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হতে শুরু করে।  মানুষ বুঝেছিল বঙ্গবন্ধুই তাদের মুক্তিদাতা। মানুষ এই ছয় দফাকে তাদের মুক্তির সনদ, মেগনাকার্টা হিসেবে গ্রহণ করেছিল। এই ছয় দফার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়েছিল।

অন্যদের মধ্যে সরকারি দলের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল কালাম আজাদ ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ আলোচনায় অংশ নেন।