কয়েকজনের অবস্থা ‘বেশ ভালো’, এখনই ছাড়পত্র নয়: ডা. সামন্ত লাল

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ২০ জনের চিকিৎসা চলছে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। তাদের মধ্যে দুই জন এখনও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) এবং বাকিরা পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে আছেন।

রবিবার (১২ জুন) দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক বলেন, এখানে চিকিৎসাধীন রোগীদের সবারই অবস্থা মোটামুটি ভালোর দিকে। কয়েকজনের অবস্থা বেশ ভালো। তবে এই মুহূর্তে কাউকে ছাড়পত্র দেওয়ার চিন্তা করছি না। কারণ, তাদের ফলোআপ করতে হবে। ছাড়া পেলেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে চলে যাবেন, তাতে ফলোআপ চিকিৎসা ব্যাহত হবে।

তিনি আরও বলেন, সব চিকিৎসা সম্পন্ন এবং পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কোনও রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। সরকারও বিষয়টিতে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে, সেই সিদ্ধান্ত মাফিক সবকিছু চলবে। তারা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে, আগুনের ঘটনায় দগ্ধ ফায়ার সার্ভিস কর্মী গাউছুল আজম (২৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (১২ জুন) ভোর ৩টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা যান। তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। শ্বাসনালি পোড়াসহ গাউছুল আজমের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয় ওই ঘটনায়।

প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকার বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণের সময় বিস্ফোরণ ঘটলে আহত হন ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ২ শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় গাউসুল আজমসহ এখন পর্যন্ত ১০ ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু হলো। আর সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭-এ।