জানাজা হলো গাউসুলের, মরদেহ যাচ্ছে বাড়ি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপো বিস্ফোরণে মৃত্যুবরণ করা ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১২ জুন) বিকাল ৩টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরে তার জানাজা হয়েছে।

জানাজা শেষে সাতক্ষীরার মাগুরার গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় তার মরদেহ। সেখানেই দাফন করা হবে গাউছুলকে।

জানাজায় ফায়ার সার্ভিস অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেন, উপসচিব জাহিদুল ইসলাম, মরহুমের পরিবারের সদস্যগণ এবং ফায়ার সার্ভিসের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার সন্ধ্যায় জানানো হয়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন নেভানোর সময় কেমিক্যাল বিম্ফোরণে গুরুতর আহত সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের ফায়ারফাইটার গাউসুল আজম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

জানাজায় উপস্থিত হয়ে ফায়ার সার্ভিস অধিদফতরের মহাপরিচালক গাউসুল আজমের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর তিনি গাউসুল আজমের উদ্দেশে সশ্রদ্ধ অভিবাদন জ্ঞাপন পর্বে অংশ নেন।

শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে সকলকে শহিদ ফায়ারফাইটার গাউসুল আজমের জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করে শোনানো হয়। এরপর মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে তার ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান সংক্ষেপে বক্তব্য দেন এবং পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে মরহুমের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।

জানাজা শেষে অগ্নিদুর্ঘটনায় শাহাদত বরণকারী ১০ ফায়ারফাইটারসহ নিহত সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

গাউসুল আজম ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে অগ্নিসেনা হিসেবে যোগদান করেন। সবশেষ তিনি সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। ৫ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে গাউসুলের।