মোবাইল কোর্টে জরিমানার অর্থ তদারকির নির্দেশ

দেশেজুড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে করা জরিমানার অর্থ সঠিকভাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সারাদেশের ৬৮ জেলার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

মামলার বিবরণী থেকে পাওয়া তথ্য মতে, ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত শরীয়তপুর জেলায় ৭৫৪ বার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা আদায় হয়। তবে সেই টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়নি। ৫৪টি জাল চালান তৈরি করে এই টাকা আত্মসাৎ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ অফিসার ইমাম উদ্দিন। 

তদন্তে বিষয়টা ধরা পড়ার পর কিছু টাকা পরবর্তী সময়ে জমা দেওয়া হয় এবং এ ঘটনায় ইমাম উদ্দিন দায় স্বীকার করে। এতে সহযোগী ছিল তার স্ত্রী বেঞ্চ সহকারী কমলা আক্তার। পরে ওই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা দায়ের করে। 

এরপর বিচারিক আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইমাম উদ্দিনকে ২৩ বছরের সাজা প্রদান করা হয়। সে কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন। সে আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট ইমাম উদ্দিনের সাজা বহাল রাখলেন এবং সহযোগী আসামি কমলা আক্তারকে খালাস প্রদান করলেন।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, উক্ত মামলায় ইমামের সাজা বহাল রেখে তার স্ত্রীকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে হাইকোর্ট সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আদায় করা টাকা সঠিকভাবে জমা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক জেলা প্রশাসক ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটদের জরিমানার অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে কিনা, তা দেখতে বলা হয়েছে। আদালত বলেছেন, এটা তাদের দায়িত্ব। এটা অবশ্যই দেখতে হবে।’