বন্যাদুর্গতদের মাঝে বিমান বাহিনীর ত্রাণ বিতরণ

অতিবৃষ্টির কারণে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

সোমবার (২০ জুন) বন্যাকবলিত দুর্গম এলাকায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমানে করে সিলেট ও সুনামগঞ্জের দুর্গম অঞ্চলে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো হয়। একই দিনে বাংলাদেশ সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য হেলিকপ্টারযোগে সিলেট ও সুনামগঞ্জ যান।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর-আইএসপিআর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বিমান বাহিনীর ঘাঁটি বাশার-এ আয়োজিত একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে বিমান বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল শফিকুল আলম সিলেটের বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতিতে বিমান বাহিনীর চলমান কার্যক্রম ও পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।

এই সংকটাপন্ন অবস্থায় বিমান বাহিনীর ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিমান বাহিনীর জন্মলগ্ন থেকেই বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ও দুর্গত মানুষদের সহায়তায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৮৮, ১৯৯৮, ২০০৮ এবং ২০১৭ সালের বন্যাসহ ২০০৭ সালে সৃষ্ট সিডর এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সময় বিমান বাহিনী দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারগুলো উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে।’ এছাড়া সিলেট বিমানবন্দরে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি সাপেক্ষে বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমানগুলো ত্রাণ তৎপরতায় অংশগ্রহণ করবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

সংক্ষিপ্ত সময়ে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মৌলভীবাজারে অবস্থিত বিমান বাহিনী স্টেশন শমসেরনগরে ২টি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটিতে টাস্ক ফোর্স ও মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে, যারা প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনকে বন্যাকালীন সময়ে সাহায্য করতে সক্ষম হবে।