ওয়াসার এমডি তাকসিমসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন ফেরত

ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন ফেরত দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালত মামলার আবেদনটি ফেরত দেন।

এর আগে সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিন সরকার এ আবেদন করেন। আদালত আবেদনকারীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।

আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী মো. মুনজুর আলম  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আবেদনে অপর অভিযুক্তরা হলেন— ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, রাজস্ব পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন, প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, উপসচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ ও উপপ্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালেকুর রহমান। এছাড়া আবেদনে আরও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি ১৬ জুলাই ২০১৭ থেকে ৩০ জুন ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ টাকা ঢাকা ওয়াসা থেকে রাজস্ব আদায় কাজ বাবদ পায়। আর ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ অর্থবছরে একই কাজ বাবদ সমিতি আয় করে ৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯০ টাকা। এর মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবছরে সমিতির হিসাবে জমা হয় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৩ টাকা। অবশিষ্ট ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ৬টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে  তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে অপর ব্যক্তিরা উত্তোলন ও আত্মসাৎ করেন। তাদের এই আত্মসাতের বিষয়টি সমবায় অধিদফতরের অডিট রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া সমিতির গাড়িসহ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সমিতির হেফাজত থেকে স্থানান্তর করে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সমমূল্যের সম্পদ চুরি করে উল্লিখিত ব্যক্তিরা। তাদের পরস্পর যোগসাজশে বিশ্বাস ভঙ্গ করে আত্মসাৎ ও চুরির অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩৮০/৪২০/৪০৬/৫০৬/১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।