‘প্রাণিসম্পদ খাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণ করা হবে’

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘প্রাণিসম্পদ খাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও অন্যান্য প্রক্রিয়া সরকার আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবে। এ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে প্রযুক্তির সঙ্গে সাধারণ জনগণকে অভ্যস্ত করতে ও সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা প্রয়োজন। জনগণ প্রাণিসম্পদ খাতে যে কোনও প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে সাদরে গ্রহণ করবে।’

রবিবার (২৬ জুন) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ক্লিন অ্যান্ড এনার্জি ইফিসিয়ন্ট কুলিং ফর লাইভস্টক সাপ্লাই চেইন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

এ সময় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ গতিশীলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি খাতে আমূল পরিবর্তন ঘটছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন সারাবিশ্বের নজরে এসেছে। অনেক দেশের সঙ্গে তুলনামূলক বিচারে এ খাতে আমাদের অর্জন অসাধারণ। বিশ্বব্যাংকসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা এ খাতে সহযোগিতা বাড়াচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলা হয় উন্নয়নের জাদুকর। এখন শুধু উন্নয়ন নয় বরং টেকসই উন্নয়ন প্রয়োজন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাংলাদেশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী নই। আমাদের দিক থেকে কোনও ত্রুটি না থাকলেও আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ভোগান্তির শিকার।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সবার কল্যাণ সমন্বিতভাবে নিশ্চিত করতে হবে। একটি দেশ উন্নত করে অপর একটি দেশকে অনুন্নত রেখে কোনভাবেই পৃথিবীর সব মানুষের সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণা ও অন্যান্য খাতে অসাধারণ সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছেন।’

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।