ডেসটিনির মামলায় জেসমিনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট, জরিমানার আদেশ স্থগিত

দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে ডেসটিনির সাবেক কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার মিলনের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতে তাকে দেওয়া ১ কোটি টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। তবে এ মামলায় তাকে জামিন দেননি আদালত।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল ও জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২৯ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। 

আদালতে জেসমিন ইসলামের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম. মাইনুল ইসলাম। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

এর আগে, ২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুইটি মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।

গত ১২ মে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনকে ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়।

রফিকুল আমিনসহ মামলার ৪৬ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদেরকে মোট ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে আসামি হারুন-অর-রশীদকে দেওয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড। সেইসঙ্গে তাকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর অর্থদণ্ডসহ জেসমিন আক্তার মিলনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন এবং জামিন আবেদন জানান জেসমিন আক্তার মিলন।