রাষ্ট্রায়ত্ত পাট, সুতা ও বস্ত্রকল চালুর দাবি শ্রমিক-কর্মচারী পরিষদের

বন্ধ থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত পাট, সুতা ও বস্ত্রকল অটোমেশনসহ উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি দ্বারা আধুনিকায়ন করে চালু করাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে রাষ্ট্রায়ত্ত খাত রক্ষার আন্দোলনে ১৭ জন শ্রমিক হত্যার স্মরণে শ্রমিক হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় এসব দাবি করা হয়। পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ এই সভার আয়োজন করে।

পরিষদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো— পাট, সুতা ও বস্ত্রকলের চাকরিচ্যুতদের মধ্যে কর্মক্ষম শ্রমিকদের কাজে ফিরিয়ে আনতে হবে; সরকারি অধিগ্রহণকৃত, হস্তান্তরিত ও ব্যক্তিমালিকানাধীন পাট-সুতা ও বস্ত্র শিল্প শ্রমিকদের আইনসম্মত সমুদয় বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে হবে; ব্যক্তি মালিকানাধীন পাট-সুতা ও বস্ত্র শিল্প শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি বোর্ডের রোয়েদাদ প্রকাশ করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে; অতীতের ন্যায় শ্রমিকদের জন্য রেশনিং প্রথা চালু করতে হবে; শ্রমিক-কর্মচারীদের জীবনমানের উন্নতি নিশ্চিত করাসহ রাষ্ট্রায়ত্ত খাত রক্ষার আন্দোলনে ১৯৯৪ সালে নিহত ১৭ জন শ্রমিকের দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসন করতে হবে।

সভায় আলোচকরা বলেন, লোকসানের অজুহাতে পাট-সুতা ও বস্ত্রকলগুলো বন্ধ করা হয়েছে। ভুলনীতি, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা ছাড়াও পুরাতন অনাধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারের কারণে কারখানাগুলো লাভজনক হবার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে, যা আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ বলে আসলেও আমলে নেওয়া হয়নি। কারখানাগুলোকে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি দ্বারা আধুনিকায়ন করে চালু করলে অবশ্যই লাভজনক শিল্পে উন্নীত করা সম্ভব।

সভায় সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক শ্রমিকনেতা শহীদুল্লাহ চৌধুরী সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক কামরুল আহসান, মছিউদদৌল্লা, জেড.এম. কামরুল আনাম, সিরাজুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন প্রমুখ।