‘এসএসসি ২০০২ ও এইচএসসি ২০০৪ বাংলাদেশের’ দশম বর্ষপূর্তি উদযাপন

ফেসবুকভিত্তিক একটি গ্রুপ ‘এসএসসি ২০০২ ও এইচএসসি ২০০৪ বাংলাদেশ’। এটি ০২০৪ বাংলাদেশ নামে অধিক পরিচিত। ২০০২ সালে এসএসসিতে অংশগ্রহণ করা বন্ধুদের নিয়ে ২০১২ সালের ২৩ মে ফেসবুকে এই গ্রুপটি খোলা হয়। প্রায় ৪৮ হাজার সদস্য নিয়ে গঠিত গ্রুপটি সম্প্রতি দেশজুড়ে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কেক কেটে ১০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে।

এ বছর গ্রুপটি এসএসসি পাসের ২০ বছর পূর্তিও উদযাপন করছে। এ উপলক্ষে ১ জুলাই রাজধানীর পূর্বাচলের ছুটি রিসোর্টে দিনব্যাপী এক জাঁকজমক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে গ্রুপের বন্ধুদের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বনামধন্য ব্যান্ড ও সংগীত শিল্পীরা অংশগ্রহণ করবেন।

অনুষ্ঠানে টাইটেল স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হয়েছে ফ্রুটিকা এবং পাওয়ার্ড বাই স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হয়েছে দারাজ বাংলাদেশ। কো স্পন্সর হিসেবে আছে নানজিবা গ্রুপ, অ্যাসোসিয়েট পার্টনার হিসেবে আছে চাঁদ রাইড নামের একটি বাইক রেন্টাল অ্যাপ। অ্যাসোসিয়েট পার্টনার হিসেবে আরও আছে সাফওয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আগ্রাবাদ এ কনভেনশন হল।

‘এসএসসি ২০০২ ও এইচএসসি ২০০৪ বাংলাদেশ’ এর ব্লাড ব্যাংক ০২০৪ এবং কমনরুম নামের দুইটি স্বতন্ত্র শাখা আছে। ব্লাড ব্যাংক ০২০৪-এর মাধ্যমে মূলত জরুরি সময়ে রক্তের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। এছাড়া গান, গল্প, কবিতা ফটোগ্রাফিসহ অন্যান্য মৌলিক সৃজনশীল কাজকে প্রমোট করার উদ্দেশ্যে কমনরুম প্রতিষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, কমনরুম আগে পাঠাগার নামে পরিচিত ছিল।

এছাড়াও গ্রুপের বন্ধুদের খেলাধুলাকে উৎসাহিত করার জন্য ০২০৪ স্পোর্টস কাউন্সিল নামের পৃথক একটি কমিটি আছে। দেশে-বিদেশে অবস্থানরত গ্রুপের সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়াযজ্ঞ এই কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ০২০৪ স্পোর্টস কাউন্সিল ২০১৭ থেকে এখন পর্যন্ত দেশ এবং দেশের বাইরে মোট ১১টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।

০২০৪ বাংলাদেশের কার্যক্রম শুধু আনন্দ, আড্ডা কিংবা খেলাধুলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। প্রতিবছর শীতে কষ্ট পাওয়া মানুষদের একটু উষ্ণতা দিতে পরিচালিত হয় ‘ওয়ার্ম লাভ’ নামে একটি ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার এবং অসহায় মানুষদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

এছাড়া প্রতিবছর রোজার ঈদের আগে পথশিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয় নতুন কাপড়। ‘সাইলেন্ট স্মাইল’ নামের এই উদ্যোগের মাধ্যমে দূর্গা পূজাতেও নতুন কাপড় পৌঁছে দেওয়া হয় অনাথ ও দুস্থ শিশুদের মাঝে।

বন্যাদুর্গত এলাকায় ‘রান ফর হিউমিনিটি’ নামের উদ্যোগের মাধ্যমে বানভাসি মানুষদেরও সহায়তা করা হয়। ‘বিজয়ের উল্লাস’ নামক ইভেন্টের মাধ্যমে বিজয় দিবসে বন্ধুদের সন্তানদের নিয়ে আয়োজন করা হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার।