নারীর বিরুদ্ধে সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ সংক্রান্ত (সিডও) জাতিসংঘ কমিটির সাবেক চেয়ারপারসন, অর্থনীতিবিদ ও নারী অধিকারকর্মী সালমা খান আর নেই। শনিবার (২ জুন) বেলা দুইটার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসায় ইন্তেকাল করেছেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন সালমা খানের স্বামী সাবেক মন্ত্রী হাবিব উল্লাহ খান।
পারিবারিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন সালমা খান। এছাড়া এক সপ্তাহ ধরেই থেমে থেমে জ্বর হচ্ছিল তার। মাঝেমধ্যে শ্বাসকষ্ট হতো। এছাড়া বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।
সালমা খান প্রথম এশীয় হিসেবে সিডও কমিটির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয়েছিলেন। কমিটিতে ৩ মেয়াদে ১২ বছরের বেশি সময় তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাবলিক সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিংয়ে ডিপ্লোমা ও যুক্তরাজ্যের লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেন্ডার প্ল্যানিংয়ে বিশেষায়িত হন।
সালমা খান নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে গবেষণা ও প্রকাশনার জন্য ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে স্বর্ণপদক পান। ১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে শ্রেষ্ঠ নারী প্রশাসক হিসেবে অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কার এবং নারীর উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য অসামান্য সেবার স্বীকৃতি হিসেবে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল জিন হ্যারিস পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।