‌মশা নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: মেয়র আতিক

চলমান বর্ষায় এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে শুধু সিটি করপোরেশন নয়; বরং সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, সাধারণত নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে রিহ্যাবকে দায়িত্ব নিতে হবে এবং সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।’

সোমবার (৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনে বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে রিয়েল স্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-রিহ্যাব নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে এডিস মশা নিধনে সিটি করপোরেশন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ইতোমধ্যে ড্রোনের মাধ্যমে বাসা-বাড়ির ছাদে পানি জমে আছে কিনা, সেটি খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নির্মাণাধীন ভবন যেন মশার উৎস না হয়, সে বিষয়ে রিহ্যাবকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। এডিসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রিহ্যাবকে প্রতিটি নির্মাণাধীন ভবনে সতর্কতামূলক ও সচেতনতামূলক ছবি সংবলিত ব্যানার লাগানোর আহ্বান করছি।’

নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে অনেকে গ্রামে যাবেন। কোথাও যেন পানি জমে না থাকে, সেটি নিশ্চিত করে যাবেন। জনসচেতনতাই পারে এডিসের বংশবিস্তার রোধ করতে। শুধু ওষুধ ছিটিয়ে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা হবে, এটি ভেবে বসে থাকলে চলবে না।’

সভায় রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, ‘মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব শুধু সিটি করপোরেশনের নয়। রিহ্যাবও দায়িত্ব পালন করবে। রিহ্যাবের পক্ষ থেকে সব সদস্যকে নির্মাণাধীন ভবনে ব্যবহারের জন্য বিনামূল্যে মশা নিধন কীটনাশক নোভালুরোন ট্যাবলেট বিতরণ করা হবে এবং সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, সব আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ, রিহ্যাবের সহ-সভাপতি (ফিন্যন্স) প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।