ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা, ভোগান্তিতে ঘরমুখো মানুষ

কোরবানির ঈদ কড়া নাড়ছে সবার দুয়ারে। সেজন্য কয়েকদিন ধরে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) শেষ কর্মদিবসে অনেকে বেরিয়ে পড়েছেন নাড়ির টানে। শুক্রবার সাধারণ ছুটি এবং শনিবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় যানবাহনে ঘরমুখো মানুষের চাপ আরও বাড়বে।  

বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে ব্যস্ততম সড়কগুলোতে। গণপরিবহন কম থাকায় গন্তব্যে যেতে মানুষকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সন্ধ্যার পর মানুষের চাপ বাড়লেও কমতে থাকে গণপরিবহনের সংখ্যা। পিকআপেও যাত্রী বহন করতে দেখা যায়।

কাওরান বাজার, রাসেল স্কোয়ার, শাহবাগ, মালিবাগ, রামপুরা ঘুরে দেখা গেছে, বিপুল সংখ্যক মানুষ গাড়ির জন্য স্টপেজগুলোতে অপেক্ষা করছে। হাতে গোনা কিছু গণপরিবহন চলাচল করলেও যাত্রীতে ঠাসা থাকায় তাতে উঠতে পারছেন না অনেকে।

বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে রিকশায় যেতে হচ্ছে তাদের। অনেকে ভাড়া বাইকে করেও বাসায় ফিরছেন অতিরিক্ত  অর্থ ব্যয়ে। অনেককে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপাকে পড়ছেন নারী-শিশু ও বয়স্করা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকে।

আব্দুল জব্বার নামে মধ্য বয়সী এক ব্যক্তি চাকরি করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন সন্ধ্যার পর। কিন্তু গণপরিবহনে যেতে না পেরে রিকশায় সায়েদাবাদে যাচ্ছেন।

বরিশালের মজিবুর রহমান স্ত্রী-সন্তানদের দুদিন আগে লঞ্চে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। আজ তিনি সায়েদাবাদ থেকে বাসে করে সদরঘাট যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। লঞ্চে বরিশাল যাবেন। কিন্তু বাস পাচ্ছেন না। গণপরিবহনের সংকট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ে গাড়ির চাপে যানজট লেগে থাকে। এখন সিগন্যালেও গাড়ি দাঁড়াচ্ছে না। আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই।’

এদিকে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে ক্রমশ ফাঁকা হয়ে পড়ছে রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলো। সন্ধ্যার পর থেকে যানজট তো দূরের কথা, সিগন্যালেও গাড়ির চাপ দেখা যায়নি।

মালিবাগ রেল গেটে দায়িত্ব পালনকালে মতিঝিল বিভাগের ট্রাফিক সার্জেন্ট হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘরমুখো মানুষের চাপ বেশি। গাড়ির চাপ কম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি।’