ইপিজেড আইন সংশোধন ও শিশুশ্রম বন্ধের তাগিদ

বাংলাদেশে শ্রম পরিস্থিতি আগের চেয়ে সন্তোষজনক হলেও ইপিজেড আইন সংশোধন এবং শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে বলে মনে করেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন পার্লামেন্টের সদস্য হেইডি হাওটোলা।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ডিক্যাব টকে’ তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে কতটুকু সন্তুষ্ঠ জানতে চাইলে হেইডি বলেন, ‘ইপিজেড আইন সংশোধন, শিশুশ্রম বন্ধ এবং আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী শ্রম আইনের সংশোধন প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে ২০২৫ সালের মধ্যে শিশুশ্রম বন্ধ করবে এবং আমরা আশা করি, প্রক্রিয়াটি আরও ত্বরান্বিত হবে।’

হেইডি হাওটোলা বলেন, ‘ডিএসএ’র প্রভাব ভয়াবহ, মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আরও আলোচনার দরকার আছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়ে ইইউ ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং আমরা খুশি যে, এটি নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে।’

প্রস্তাবিত ডাটা প্রটেকশন আইন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ডিএসএ সম্পর্কে জানি। কিন্তু এই বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি একটুকু বলতে পারি যে, আইনটি যেন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে করা হয়।’

শ্রম সংস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত বছর বাংলাদেশ এ বিষয়ে জাতীয় অ্যাকশন প্ল্যান ঘোষণা করেছে। আমরা এর পূর্ণ এবং সন্তোসজনক বাস্তবায়ন চাই। ট্রেড ইউনিয়ন যেন নিবন্ধিত হতে পারে এবং এই সুবিধা যেন ইপিজেডে থাকে।’

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে গেলে মৌলিক মানবাধিকার পালন করতে হবে জানিয়ে হেইডি হাওটোলা বলেন, ‘আমি আশা করি, এটি বাংলাদেশ সরকার মাথায় রাখবে।’

আইন-বহির্ভূত হত্যা এবং গুম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এটি মানবাধিকারের বড় লঙ্ঘন।’

উল্লেখ্য, ছয় সদস্য বিশিষ্ট ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার (১৮ জুলাই)  তিন দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছে। ডিক্যাব অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ম্যাক্সিমিলান ক্রাহ উপস্থিত ছিলেন।