জুলাইয়ে ৭৩ ধর্ষণ

এ বছরের জুলাই মাসে মোট ২৯৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭৩ জন। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি। 

সোমবার (১ আগস্ট) মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নির্যাতনের শিকার ২৯৫ জনের মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪৮ জন কন্যাশিশুসহ ৭৩ জন। এর মধ্যে ১০ জন কন্যাশিশু ও ৯ জন নারীসহ ১৯ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। একজন কন্যাশিশু ও ২ জন নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। একজন কন্যাশিশু ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া ৯ জন কন্যাশিশুসহ ১৩ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ১১ জন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৮ জন কন্যাশিশু। ৯ জন উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন; এর মধ্যে ৮ জন কন্যাশিশু। নারী ও কন্যাশিশু পাচারের ঘটনা ঘটেছে ৬টি; এর

মধ্যে ৪ জন কন্যাশিশু। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছেন একজন। ৩ জন অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছেন। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৬ জন; এর মধ্যে ৫ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ১৮ জন; এর মধ্যে ৭ জন কন্যা। পারিবারিক সহিংসতা শিকার হয়েছে ৬ জন। গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ জন; এর মধ্যে একজনকে হত্যা করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন কারণে ৯ জন কন্যাসহ ৪২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া একজন কন্যাশিশুসহ ২ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ৮ জন কন্যাশিশুসহ ২৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৬ জন কন্যাশিশুসহ ১৭ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২ জন কন্যাসহ ৪ জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন। ৮ জন কন্যাশিশুসহ ৯ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। এছাড়া একজন কন্যাশিশুকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। ফতোয়ার ঘটনার শিকার হয়েছেন ৪ জন। ৪ জন কন্যাশিশুসহ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন ৬ জন।

এতে আরও জানানো হয়, বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে ১০টি। বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে ৯টি। এছাড়া ৩ জন কন্যাশিশুসহ ৮ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।