নিরাপদ ক্যাম্পাস দাবি প্রগতিশীল ছাত্র জোটের

সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে কলা ভবন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, অপরাজেয় বাংলা, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রদক্ষিণ করে ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ার সামনে একটি সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মো. ফয়েজ উল্লাহ্, সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান, ঢাবি শাখার সভাপতি রাজীব কান্তি রায়, সংগঠক কাজী রকিব হোসেন।

সমাবেশে নেতারা বলেন, ডাকসুর নির্বাচন করতে গিয়ে ভোট ডাকাতি করে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পড়ে বরখাস্ত হওয়া একজন ব্যক্তিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট পুনর্নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার মানসিকতাই প্রকাশ পায়। অপরদিকে জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন একজন কলেজছাত্রীকে যেভাবে হেনস্তা করেছেন, তা মোটেই শিক্ষক সুলভ আচরণ নয়। আমরা তার অপসারণ দাবি করছি।

নেতারা আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজ করছে ক্ষমতাসীন সংগঠন ছাত্রলীগের চূড়ান্ত দখলদারিত্ব, সন্ত্রাস ও ত্রাসের রাজত্ব। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সবার জন্য হয়ে উঠেছে অনিরাপদ। আমরা নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নির্মাণ ও সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

তাদের অন্য তিনটি দাবি হলো- ডাকসু নির্বাচনে ব্যালট পেপার চুরির দায়ে অভিযুক্ত কুয়েত-মৈত্রী হলের সাবেক প্রভোস্ট শবনম জাহানকে চাকরিতে পুর্নবহাল না করা, কলেজ ছাত্রীকে হেনস্তাকারী জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন এ কে এম মাহবুব হাসানকে অপসারণ করা, সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব ও যৌন নিপীড়নের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।