প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের সমাবেশে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ, আহত ২২

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশি হামলার অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে পুলিশ বলছে, গায়ের ওপরে এসে প্রথমে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের কর্মীরাই হামলা করেছে। হামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ ২২ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

রবিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশি হামলার অভিযোগ এনে সোমবার (৮ আগস্ট) বেলা ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো। ছাত্রসংগঠনগুলোর  নেতাকর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্যমতে, বিকাল ৬টার দিকে ছাত্রদের বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় নেতাকর্মীদের। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে মারধরসহ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে থাকে। একইসঙ্গে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।

পুলিশের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমনা থানার এসি বায়োজিদ এবং শাহবাগ থানার এসআই রাশেদ আহত হয়েছেন।

এদিকে পুলিশের হামলায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দফতর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী, কর্মী মশিউর রহমান, মিশাল ত্রিপুরা, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সংগঠক জাবির আহমেদ জুবেল, সামি আব্দুল্লাহ, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা নগরের সংগঠক শাহাদাত হোসেন, ঢাকা নগরের কর্মী জাওয়াদ হোসেন, শান্তাসহ প্রায় ২০ জন আহত  হয়েছেন বলে জানা যায়।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দফতর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলাম। তখন পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু করে এবং আমাদের ওপর হামলে পড়ে। আমাদের নারী নেতাকর্মীদের পুলিশ হেনস্থা করে। নারী পুলিশ সদস্য থাকলেও পুরুষ পুলিশ সদস্যরা  নারী নেতাকর্মীদের ওপর ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা করে,  যা অত্যন্ত নিন্দনীয়৷

তিনি বলেন, ‘আমরা এ হামলার প্রতিবাদে সোমবার  বেলা ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল করবো।’

রমনা জোনের এডিসি হারুন অর রশিদ বলেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হামলার অভিযোগ অসত্য। পুলিশ তাদের (বাম সংগঠন) ওপর কোনও হামলা করেনি। তারাই বরং পুলিশের ওপর হামলা করেছে।’ পুলিশের কেউ আহত হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনও উত্তর দেননি।

এদিন একই দাবিতে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিকালে ‘বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা’ নামে কিছু শিক্ষার্থীর মিছিলেও পুলিশ ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শাহবাগ মোড়ের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। তবে এখানে কেউ আহত হননি।