কোথায় কী শেষ হয়েছে, প্রমাণ দেন: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আজ কেউ কেউ মাঠে-ময়দানে বলছেন, ‘বাংলাদেশ শেষ হয়ে গেলো, মানবতা শেষ হয়ে গেলো, এটা শেষ হয়ে গেলো, ওটা শেষ হয়ে গেলো; কোথায় কী শেষ হয়েছে, তারা প্রমাণ দেন।’

শনিবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘জাতির পিতার সাংবিধানিক নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকারের শাসন ব্যবস্থা চাই’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দেশের মানুষের খাওয়ার মতো ভাত আছে। পরার জন্য কাপড় আছে। তবে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্বে অর্থনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারে নিত্য পণ্যের দাম বেড়েছে। যে কারণে পুরো বিশ্বের মানুষ কষ্টে আছে। আর এই প্রভাব আমাদের ওপরও পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে সব জায়গায় বিদ্যুৎ গেছে। গ্রাম বা শহর, কোথাও বাকি নেই। কোভিড আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য একটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা যাচ্ছি ঠিক, কিন্তু দেশের সব মানুষ খেতে পারে। দারিদ্রতা ২০ ভাগের নিচে, যা অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। পণ্য ক্রয় করতে মানুষকে বেশি দাম দিতে হচ্ছে। আমরা এই সমস্যা মোকাবিলা করছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত বাংলাদেশ করতে হলে কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। বাংলাদেশ ঘনবসতির দেশ। তাই এই জনবলকে কাজে লাগাতে হবে, রোজগারের আওতায় আনতে হবে। সে জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন অত্যন্ত অপরিহার্য। বিদ্যুৎ আর গ্যাস যদি থাকে তাহলে শিল্পায়ন হবে। শিল্পায়ন হলে কর্মসংস্থান হবে। দেশের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সরকার কাজ করে হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা আইএমএফ’র কাছ থেকে সব দেশ ঋণ নেয়। আমরাও নিয়েছি। তবে আইএমএফ’র ঋণের শর্তের কারণে আমাদের এ অবস্থা– এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।’

বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর-রশীদ হাওলাদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম খান বীরুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও ছিলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ।