স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। এর ফলে মামলার আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো।

রবিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। এদিন তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে,গত ১২ জুন এ ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

এর আগে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।

চার্জশিটে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে অবৈধভাবে পারিতোষিক বাবদ রোগী প্রতি ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেন।

এছাড়া চার্জশিটে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ হিসেবে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক চাহিদা তুলে ধরে সমঝোতা স্মারকের খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।