কিশোরী ধর্ষণের বিচার চেয়ে পরিবারের মানববন্ধন

শেরপুর জেলার সদর থানাধীন টাঙারিয়াপাড়ার ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এ ঘটনায় থানায় মামলা করার পরেও পুলিশ কোনও আসামিকে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছে পরিবারটি।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আসামিকে গ্রেফতারে দাবিতে অবস্থান নিয়ে তারা এই অভিযোগ জানান। এ ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট কিশোরীর মা আনোয়ারা খাতুন বাদী হয়ে তিন জনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন মো. সাইফুল ইসলাম, বাবা-জিগার আলি মহুর; মোছা. নৌশী, বাবা- মো. মোকলেছ; মো. বিল্লাল, বাবা- মো. হাবুল মিয়া।

ভুক্তভোগীর মা আনোয়ারা খাতুন বলেন, গত ২৩ আগস্ট আমার মেয়ে মশার কয়েল কেনার জন্য দোকানে যায়। সেখান থেকে সাইফুল ইসলাম ও তার সঙ্গীরা  সিএনজিতে করে পাশের বাঘেরচর গ্রামে হাবুল প্রিমিয়ার ক্লাব ঘরে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে আমার মেয়ের চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে মেয়েকে উদ্ধার করে।

মেয়েটির বাবা মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। তিন-চার মাস আগে থেকে সাইফুল ইসলামসহ তার সঙ্গীরা প্রায়ই আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতো। তারা বিভিন্ন অশ্লীল কথাবার্তা বলত। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এত দিনেও আমার মেয়ের ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ কোনও আসামিকে ধরছে না। অথচ সাইফুল ইসলাম  সব যায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সে বলছে পুলিশ আমাদের কিছু করতে পারবে না। আসামি নাকি কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছে।

ধর্ষণের বিষয়ে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শেরপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এস এম আবদুল্লাহ আল মামুনকে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'ধর্ষণের মেডিক্যাল রিপোর্ট আমাদের হাতে এখনও আসেনি। মেডিক্যাল রিপোর্ট আসতে মাসখানেকের মতো সময় লাগে। তবে আসামি সাইফুল ইসলাম এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে বিষয়টি সত্য না। আমরা আসামিকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারেও সহয়তা চেয়েছি আমরা।'