শুধু দিবস পালন করে পর্যটনের বিকাশ সম্ভব নয়

যুগোপযোগী নীতিমালা ও সরকারের পরিকল্পনার অভাবে দেশের পর্যটন খাত এগোতে পারছে না। নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে ব্যবসায়ীরা এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন। কোনও সহায়তা না করে শুধু দিবস পালন করে পর্যটন খাতে বিকাশ ঘটানো যাবে না।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) শেরেবাংলা নগর এলাকায় পর্যটন ভবনে ‌‘পর্যটনে নতুন ভাবনা প্রেক্ষিত : বাংলাদেশে পর্যটক পরিবহন’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তরা এসব মন্তব্য করেন।

বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড।

অনুষ্ঠানে পর্যটন কোম্পানি জার্নি প্লাসের প্রধান নির্বাহী তৌফিক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে ওশান ক্রুজের সম্ভাবনা আছে। তবে এ ক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রয়োজন। তাহলে দেশি-বিদেশি জাহাজ বাংলাদেশে আসবে।’

ঢাকা ক্রুজ অ্যান্ড লজিস্টিকসের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলাল বলেন, ‘পর্যটনে ব্র্যান্ডিংয়ের বিকল্প নেই। আমাদের কোনও পর্যটন পণ্য নিয়ে বিদেশিদের কাছে তুলে ধরতে পারবো। বাংলাদেশের নদী পর্যটনের ইউনিক পণ্য হয়ে উঠতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, দেশে ৪০০-এর বেশি নদী আছে। আমাদের নদীর সম্ভাবনা পর্যটনে কাজে লাগাতে পারিনি। নীতিনির্ধারকরা নদীকে পর্যটনে গুরুত্ব দেননি।’

কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের উপদেষ্টা মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘আমাদের অনেক কষ্ট করে জাহাজের অনুমতি নিয়ে হয়েছে। কোনও জেলায় জাহাজ চালাতে আমাদের আলাদা করে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিতে হয় না। কিন্তু কক্সবাজার জেলা প্রশাসন তাদের অনুমতি ছাড়া জাহাজ চালাতে দেবে না। আমরা তাহলে কীভাবে কাজ করবো? কীভাবে পর্যটন আগাবে? পর্যটন দিবস করে কী লাভ? আমরা কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনে জেটি করার দাবি জানিয়েছি। আমরা বলেছি, প্রয়োজনে আমরা টাকা দেবো, কিন্তু কেউ সহযোগিতা করছে না।’

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (গ্রাহক সেবা) মো. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘সঠিক পরিকল্পনা, সমন্বয়ের অভাবে আমাদের পর্যটন এগোতে পারছে না।’

মো. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিমানের সেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা করছি। ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা এশিয়ার টপ টেন এয়ারলাইন হতে চাই।’

মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের সহায়তা প্রয়োজন বলে মত দেন গ্রিন লাইন পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার মো. আব্দুস সাত্তার।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুকেশ কুমার সরকার বলেন, ‘আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পর্যটন মন্ত্রণালয় এগিয়ে আসবে। আমাদের পরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন করতে হবে।’