জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন শুনানি শেষ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মাদ কাদেরের (জিএম কাদের) দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। তবে বিচারক এ বিষয়ে নথি পর্যালোচনা শেষে  পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হকের আদালতে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহারের আবেদনের ওপর শুনানি করেন জিএম কাদেরের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম। শুনানি শেষে বিচারক পরে আদেশ দেওয়ার কথা জানান।

এর আগে, গত ৮ নভেম্বর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হকের আদালতে গোলাম মোহাম্মাদ কাদেরের (জিএম কাদের) দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার আবেদন করেন শেখ সিরাজুল ইসলাম। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা গত ৪ অক্টোবর এই মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমের ওপরে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন।

একই আদালতে মসিউর রহমান রাঙ্গা গত ৩ অক্টোবর জি এম কাদেরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। একই বিষয়ে ঢাকার দ্বিতীয় সহকারী জজ আদালত বাদী নাফিজ মাহবুবের অন্য আরেকটি মামলা সোমবার খারিজ করে দেন।

মামলায় বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জি এম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।

এরপর গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। এছাড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মসিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অপরদিকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন তিনি, যা অবৈধ।

তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট নম্বর ১৫০৫১/২০১৯ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়েছে।