আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের লিভ টু আপিল খারিজ

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের মামলার ‘তদন্ত চলবে’ বলা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে তার বিরুদ্ধে মামলায় তদন্ত চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রবিবার (২৭ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে শহিদুল আলমের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

এর আগে ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট রমনা থানায় শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি শহিদুল আলম তার ফেসবুক টাইমলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে কল্পনাপ্রসূত অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণিকে শ্রুতিনির্ভর (যাচাই-বাছাই ছাড়া কেবল শোনা কথা) মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উসকানি দিয়েছেন, যা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর।

‘সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকররূপে তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন করেছেন। আসামি শহিদুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ জনমনে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নের জন্য ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রচার করেছেন।’

ওই মামলায় এ মামলায় ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর ১৫ নভেম্বর তিনি জামিন পান।
 
২০১৯ সালের ১৪ মার্চ মামলার তদন্ত কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি মামলার তদন্তের বৈধতা নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।

সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় তদন্ত কার্যক্রম চলবে বলে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত ১০ জানুয়ারি আপিল বিভাগে আপিল লিভ টু আপিলের আবেদন জানান শহিদুল আলম।