মহিলা পরিষদের তথ্য

নভেম্বরে ৪৩ নারী ও শিশুকে ধর্ষণ

গেলো নভেম্বর মাসে ৪৩ ধর্ষণসহ ২০৪ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।

মহিলা পরিষদ জানায়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে মোট ২০৪ জন নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২৮ জন কন্যাসহ ৪৩ জন। তার মধ্যে ছয় কন্যা শিশুসহ ১২ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, এক কন্যা শিশুসহ দুই জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও ছয় কন্যা শিশুসহ আট জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।

পাশাপাশি যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১০ জন কন্যাশিশু, উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে ১১ জন কন্যা শিশু।  পাঁচ জন নারী ও কন্যা শিশুকে পাচারের ঘটনা ঘটেছে। একজনকে অগ্নি সংযোগ করায় তার মৃত্যু হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আট জন, এরমধ্যে একজনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে।

শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ১৩ জন, এর মধ্যে চার জন কন্যা শিশু। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিন জন। দুই জন গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে একজন গৃহকর্মীকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন কারণে ছয় জন কন্যা শিশুসহ ৩৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। দুই জন কন্যা শিশুসহ ১৫ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

১১ জন কন্যা শিশুসহ ২৪ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে দুই জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন। ৯ জন কন্যা শিশু অপহরণের শিকার হয়েছে এবং একজন কন্যা অপহরণের চেষ্টার শিকার হয়েছে। একজন ফতোয়ার ঘটনার শিকার হয়েছে। তিন জন কন্যা শিশু সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে একটি। বাল্যবিয়ের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে দুটি। এছাড়া পাঁচ কন্যা শিশুসহ ১০ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।