‘পার্বত্য চুক্তির সমস্যাগুলো প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে সমাধান সম্ভব’

পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে যেসব কমিটি করা হয়েছে, সেগুলো কার্যকর করার কোনও ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। তবে চুক্তিটি বাস্তবায়নে যেসব সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে সমাধান করা সম্ভব।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকা গ্যালারিতে এডিটরস গিল্ড আয়োজিত ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তি: বাস্তবায়ন ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠবে এসব কথা বলেন দেশের বিশিষ্টজনেরা।

এডিটরস গিল্ডের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় বৈঠকে আলোচক হিসেবে ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সাবেক সভাপতি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম।

এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি প্রসেনজিত চাকমা, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদ ও কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমাও আলোচনা সভায় কথা বলেন।

আলোচকরা বলেন, বেশ কিছু অপশক্তি রয়েছে, যারা চুক্তিটির চায় না। এই অপশক্তি রুখে দিয়ে চুক্তি পরিপূর্ণভাবে কার্যকর ও বাস্তবায়ন করা সরকারের দায়িত্ব। এই সমস্যার সমাধানে ভূমি কমিশনকেও কার্যকর করতে হবে। এটি করা না হলে পার্বত্য সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সব পক্ষ শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন চায় দাবি করে তারা বলেন, ১৯৯৭ সালের ৩ ডিসেম্বর শান্তি চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সংঘাতের একটি রাজনৈতিক সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। সে কারণে এই সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক সংলাপ জরুরি। সেই সঙ্গে বাড়াতে হবে যোগাযোগও।

শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পর নানা আলোচনা-সমালোচনার বিষয়টি তুলে ধরে আলোচকরা আরও বলেন, চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে মাত্র ৪৮টি বাস্তবায়ন হয়েছে, ১৫টি বাস্তবায়নাধীন এবং ৯টি এখনও হয়নি। এই চুক্তির প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তিও রয়েছে। ভূমি আর এন্ট্রিগ্রেশন হলো প্রধান সমস্যা, যার অনেক কাজ এখনও বাকি। ফলে এই চুক্তি নিয়ে এখন নতুন এক বাস্তবতা সামনে এসেছে।