পার্বত্যাঞ্চলের বেকারদের কোটা পুনর্বহালের উদ্যোগ নেওয়া হবে

দেশের পার্বত্যাঞ্চলের বেকারদের কোটা পুনর্বহাল ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কোনও হয়রানিমূলক মামলা থাকলেও তা দ্রুত প্রত্যাহার করা হবে।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির ষষ্ঠ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়।

অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা এমপি যোগদান করেন। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য গৌতম কুমার চাকমা, সাবেক মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান সিকদার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিগত সভার গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সভায় জানানো হয়, পার্বত্য অঞ্চলে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। চুক্তিগুলো বাস্তবায়নে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে বৈঠক এবং জাতীয় পর্যায়ে সেমিনার করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবনধারা সরেজমিনে দেখতে তিন পার্বত্য জেলা পরিদর্শন এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে। তিন পার্বত্য অঞ্চলের বেকার যুবকদের জন্য চাকরির কোটা পুনর্বহালের উদ্যোগ নেওয়া হবে। 

সভায় আরও জানানো হয়, পার্বত্য অঞ্চলের উপজাতি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কোনও হয়রানিমূলক মামলা থাকলে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হবে।

বৈঠকে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়। পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা, পর্যটন শিল্প ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিতে সভায় ঐকমত্য পোষণ করা হয়। বৈঠকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলাপ আলোচনা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলকে নিরাপদ, সুখী, উন্নত, শান্তি ও সমৃদ্ধির জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শান্তিচুক্তিসমূহ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।