রূপান্তরিত জনগোষ্ঠীকে তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতির দাবি

রূপান্তরিত নারী (ট্রান্সওম্যান) ও রূপান্তরিত পুরুষদের (ট্রান্সমেন) তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে রূপান্তরিত লিঙ্গের জনগোষ্ঠীরা।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে, ‘সম্পর্কের নয়া সেতু’ সংগঠন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংগঠনটির সভাপতি জয়া সিকদার বলেন, ‘২০১১ সালের ১১ নভেম্বর মন্ত্রী পরিষদে নারী-পুরুষের পাশাপাশি তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয় হিসেবে হিজড়াকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। সরকারকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এই স্বীকৃতিতে শুধুমাত্র যারা হিজড়া পেশা বা হিজড়া সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত, তারাই হিজড়া হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু আমরা যারা রুপান্তরিত লিঙ্গের নারী ও রূপান্তরিত লিঙ্গের পুরুষ আছি আমরা হিজড়া লিঙ্গ স্বীকৃতিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে আবেদন, আমাদের লিঙ্গ পরিচয়ে সংশোধনী এনে মন্ত্রী পরিষদে ঘোষণা দেওয়া হোক। লৈঙ্গিক পরিচয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারী, ট্রান্সজেন্ডার পুরুষ এবং অন্যান্য কলাম উল্লেখ করা হোক। আশা করছি, এর মাধ্যমে আমরা লিঙ্গ রুপান্তর জনগোষ্ঠী রাষ্ট্রের কাছ থেকে নাগরিক সুবিধা পাবো।’

সংবাদ সম্মেলনে ‘সম্পর্কের নয়া সেতু’ সংগঠন থেকে সরকারের কাছে কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো– আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নিতিমালা তৈরি; জেন্ডার আইডেনটিটি ডিক্লেরেশন সার্টিফিকেট (GID) প্রদান; জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্রে নাম ও লিঙ্গ পরিবর্তনের সুযোগ; শিক্ষা সনদ পত্রে নাম ও লিঙ্গ পরিবর্তনের সুযোগ; চাকরির ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা; ট্রান্সজেন্ডার বান্ধব শিক্ষাঙ্গনের ব্যবস্থা করা; জাতীয় সংসদে ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়াদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করাসহ সব লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর প্রতি লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য দূর করা।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সম্পর্কের নাম সেতুর সভাপতি জয়া সিকদার, বক্তব্য রাখেন তানিসা ইসলাম চৈতি, শুভা সরকার, কথা, পার্বতী আহমেদসহ অন্যান্যরা।