পদ্মা সেতুর কারণে সংস্কৃতির আদান-প্রদান ঘটবে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে এপার-ওপারের মানুষের মধ্যে সংস্কৃতির স্বতঃস্ফূর্ত আদান-প্রদান ঘটবে। একই সঙ্গে দুপারের মানুষের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধন ও যোগাযোগ বাড়বে।’

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাদুঘর আয়োজিত ‘পূর্বাপরে পদ্মা সেতু: সাংস্কৃতিক পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ফয়সল হাসানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

কে এম খালিদ বলেন, ‘ঐতিহ্যিক সংস্কৃতির ভান্ডার বাংলার দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জেলাগুলো। লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতির অজস্র উপকরণ, আঙ্গিক ও লোকপ্রিয় ধারা-উপধারা রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জনজীবনে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সংস্কৃতিচর্চার দেওয়া-নেওয়া হবে দক্ষিণের সঙ্গে উত্তরের, পশ্চিমের সঙ্গে পূর্বের।’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে কম ষড়যন্ত্র হয়নি। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধানমন্ত্রী ও দেশবাসীর এই স্বপ্নকে বিনষ্ট করার জন্য কত রকমের ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেছিল। কত রকমের অপবাদ ছড়ানো হয়েছে। কিন্তু সত্য ও ন্যায়ের কাছে এসব আজ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।’

কে এম খালিদ বলেন, ‘সব ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। পদ্মা সেতু এখন আর কোনও স্বপ্ন নয়, এটি এখন বাস্তব সত্য। এটি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় স্থাপনা।’

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে
এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কিপার ড. শিহাব শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও গবেষক খান মাহবুব। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।

প্রতিমন্ত্রী এর আগে বাংলা একাডেমির শহিদ মুক্তমঞ্চে বাংলা একাডেমির ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বক্তৃতা ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।