অভিবাসী নারীকে যৌন নির্যাতন ও শোষণ বন্ধে গণমাধ্যমের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান

নারী অভিবাসীদের সম্পর্কে ইতিবাচক খবর প্রকাশ করে অভিবাসী নারী শ্রমিকদের যৌন নির্যাতন ও শোষণ বন্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে। নারীর অভিবাসনের সব বিষয় তুলে ধরতে হবে মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘বিদেশফেরত অভিবাসী নারী শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতে গণমাধ্যমের অ্যাডভোকেসি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব মন্তব্য করেন। সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন স্টাডিজ (সিডব্লিউসিএস) মতবিনিময় সভাটির আয়োজন করে।

মতবিনিময় সভায় সিডব্লিউসিএসের সভাপতি অধ্যাপক ইশরাত শারমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, নারী অভিবাসী শ্রমিকরা যেন শোষিত না হয় এবং তাদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে, সে জন্য জনসাধারণ নীতি পরিকল্পনাবিদ এবং আইন প্রণেতাদের ওপর আইন সংশোধন ও নীতিমালা প্রণয়নের জন্য চাপ সৃষ্টি করবে।

তিনি আরও বলেন, ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থানে নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রাসঙ্গিক তথ্য দিয়ে অবহিতকরণ এবং নারী অভিবাসীদের দেশে এবং বিদেশে সহায়তা পরিষেবার জ্ঞান প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যাবর্তনকারী নারীদের টেকসই পুনঃসংযোজন জন্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’

নারী অভিবাসী শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে গণমাধ্যম সঠিক ভূমিকা রাখে জানিয়ে ইশরাত শারমিন বলেন, ‘গণমাধ্যম অ্যাডভোকেসির লক্ষ্য হলো নারী অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকারের সমস্যাগুলোকে একত্র করা এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক ইচ্ছার সঙ্গে সমাধানগুলো এগিয়ে দেওয়া। গণমাধ্যম সহজে নাগরিকদের কাছে পৌঁছাতে পারে এবং জণগণকে বিষয়বস্তুতে সম্পৃক্ত করতে পারে। ফলে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পায় বা জনমতের পুনর্গঠন হয়। তাই গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান বিদেশফেরত নারী অভিবাসী শ্রমিকদের বিষয়গুলো মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার।’

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘সমগ্র অভিবাসন বৃত্তে নারী অভিবাসীদের যৌন নির্যাতন ও শোষণ বন্ধে সবার উচিত বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করা। অভিবাসনপ্রত্যাশী এবং অভিবাসীফেরত নারীদের অবদান পুনর্গঠনের জন্য ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করা সরকারের দায়িত্ব।’

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের জেষ্ঠ্য সমন্বয়ক মহুয়া লিয়া ফলিয়া, সিডব্লিউসিএসের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নুসরাত সুলতানা, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সাংবাদিক আরাফাত আরাসহ বিভিন্ন নারী অধিকার সংগঠনের নেতারা।