‘কোথাও পাবলিক টয়লেটগুলো ব্যবহারের উপযোগী না’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেছেন, ‌‘আর্থিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট মিলিয়ে প্রত্যেক মানুষের পার্সোনাল হাইজিনের ধারণা বিভিন্ন ধরনের। ফলে আমি যেটাকে পরিষ্কার মনে করি, আরেকজন সেটিকে অপরিষ্কার মনে করে। তবে কোথাও পাবলিক টয়লেটগুলো ব্যবহার করার মতো অবস্থায় থাকে না। এমন খারাপ অবস্থা থাকে যে একজন কোনোমতে ব্যবহার করলে সে মনে করে যে বেঁচে গেলাম। কিন্তু পরেরজনের আর ব্যবহারের অবস্থায় থাকে না।’

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন ও ওয়াটারএইডের আয়োজনে ‘নাগরিক গণশৌচাগার চিত্র’ শীর্ষক বৈঠকিতে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. আকতার মাহমুদ বলেন, ‘মানসম্মত টয়লেটের আলোচনার পাশাপাশি আমার কাছে মনে হয় যদি সরকারিভাবে একটি মানসম্মত টয়লেট তৈরি করে দেওয়া যায়, তাহলে ঢাকা শহরে অসংখ্য টয়লেট হওয়ার সুযোগ আছে। যারা ব্যবহার করবে, তাদের কাছ থেকে একটা ফি নেওয়া যেতে পারে, তাতে রক্ষণাবেক্ষণ খরচ উঠে আসতে পারে। এখানে একটা মেকানিজম করা যেতে পারে, তবে উদ্যোগটা প্রয়োজন। কাউকে না কাউকে এই জায়গায় আসতে হবে এবং একটা নীতিমালা এ-সংক্রান্ত থাকা উচিত এবং সেটা বাস্তবায়ন করা দরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘মানসম্মত টয়লেট যেগুলো আছে, সেগুলো তো চাহিদার তুলনায় খুবই কম। সে ক্ষেত্রে আমাদের জন্য এগুলো একটি মডেল হতে পারে কিন্তু পাশপাশি অন্যান্য মডেল আমাদের খুঁজে বের করা দরকার। নগর পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা— তিন জায়গায় নারীদের যে চাহিদা, সেই চাহিদাকে খুব বেশি বিবেচনা না করেও কিন্তু এই নগর উন্নয়ন হয়। এই জায়গায় যেন আমাদের পরিষ্কার একটি ধারণা তৈরি হয়।’

মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে যুক্ত ছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পলিসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর পার্থ হেফাজ সেখ এবং বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি উদিসা ইসলাম।

এ বৈঠকি সরাসরি সম্প্রচার করেছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে লাইভ দেখানো হয়েছে এ আয়োজন।