ওয়াটারএইড বাংলাদেশের ডিরেক্টর পার্থ হেফাজ সেখ

‘পাবলিক টয়লেট নিয়ে নীতিমালা হচ্ছে’

ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পলিসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর পার্থ হেফাজ সেখ বলেছেন, ‌‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে কাজ করছি। তাদের সঙ্গে আমরা বাংলাদেশের পাবলিক টয়লেট অপারেশন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করছি, যেটি প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। বিমানবন্দর, শপিং মল কিংবা বাস টার্মিনালে পাবলিক টয়লেটে কী কী সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে, নীতিমালায় সেসব রাখার চেষ্টা করেছি। আমরা যেসব পাবলিক টয়লেট করেছি, সেখানে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন ও ওয়াটারএইডের আয়োজনে ‘নাগরিক গণশৌচাগার চিত্র’ শীর্ষক বৈঠকিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘২০১১ সালে আমরা সার্ভে করে দেখেছিলাম যে পাবলিক টয়লেটের অবস্থা কেমন। ২০১৪ সালে দুই সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে পাবলিক টয়লেট নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি। প্রায় ৪৪টি পাবলিক টয়লেট করেছি। ১৬টি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে, ১৫টি ঢাকা দক্ষিণে, সিলেটে ৩টি, খুলনা সিটি করপোরেশনে ১টি, চট্টগ্রামে ৭টি এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের কমলাপুর ও পঞ্চগড়ে একটি টয়লেট করা হয়েছে।’

মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে যুক্ত ছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ  এবং বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিনিধি উদিসা ইসলাম।

এ বৈঠকি সরাসরি সম্প্রচার করেছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক ও হোমপেজে লাইভ দেখানো হয়েছে এ আয়োজন।