ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার করার দাবি গার্মেন্টস শ্রমিকদের

ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা ঘোষণা করে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন ও পূর্ণাঙ্গ রেশনিং ব্যবস্থাসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।

রবিবার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শ্রম মন্ত্রণালয়ে স্মরকলিপি পেশের আগে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা এ দাবি জানান। গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন এ সমাবেশের আয়োজন করে।

তাদের অন্যান্য দাবি হলো– নতুন মজুরি ঘোষণার আগে ৬০ শতাংশ মহার্ঘভাতা চালু করতে হবে; নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য রেশন কার্ডের মাধ্যমে বিতরণের লক্ষ্যে স্থায়ীভাবে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে; সব শ্রমিক এলাকায় শ্রমিকদের জন্য চিকিৎসা, শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতে সরকার ও মালিককে উদ্যোগ নিতে হবে; বাধ্যতামূলক অংশীদারিত্বমূলক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করতে হবে; প্রতি বছর মূল মজুরির ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে; শ্রমিক ও শিল্প স্বার্থে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে করতে হবে; সোয়েটার ও পিছ রেটে কর্মরত শ্রমিকদরে কাজের আগে মজুরি নির্ধারণ করতে হবে; শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না ও ইতোপূর্বে ছাটাই করা বেকার শ্রমিকদের জীবিকা ভাতা দিতে হবে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করে মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। এরপর পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়ে নতুন মজুরি বোর্ড গঠনে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অথচ এই সময়ে তেল, গ্যাস, পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। তাই শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। মজুরি বাড়লে শুধু শ্রমিকদেরই লাভ হবে না বরং কারখানা মালিক থেকে শুরু করে বৈদেশিক আয় বাড়বে। এতে দেশেরই লাভ হবে।

এ সময় দাবি পূরণ না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সহ-সভা প্রধান অঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও ছিলেন টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, জাতীয় সুয়েটার গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি এ এম ফয়েজ হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে তারা স্মারকলিপি পেশ করতে শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে মিছির নিয়ে যান।