সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম আর নেই

মাহমুদুল ইসলামসাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, দেশের খ্যাতনামা আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ মাহমুদুল ইসলাম আর নেই (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
মাহমুদুল ইসলামের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।
বিশিষ্ট এ আইনজীবী ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল পদে দায়িত্ব পালন করেন। মাহমুদুল ইসলাম সাংবিধানিক গবেষণামূলক বই লিখেছেন। সংবিধান বিষয়ে তার  লেখা বই হচ্ছে ‘কন্সটিটিউশনাল ল অব বাংলাদেশ’, ‘ল অব সিভিল প্রসিডিউর’ ও ‘ইন্টারপ্রিটেশন অব স্ট্যাটিউটস অ্যান্ড ডকুমেন্ট’।
তার পারিবারিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ও কিডনির সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন মাহমুদুল ইসলাম। তার দুই ছেলে আসিফ ইসলাম ও আরিফ ইসলাম। পেশায় প্রকৌশলী দুই ছেলেই কানাডায় রয়েছেন। ছেলেরা বুধবার দেশে ফিরবেন। এরপর সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে মাহমুদুল ইসলামকে রংপুরে সমাহিত করা হতে পারে।

বাংলাদেশে আইন পেশায় পণ্ডিত ব্যক্তি হিসেবে তিনি স্বীকৃত ছিলেন। সংবিধান সংক্রান্তসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সর্বোচ্চ আদালতের আহ্বানে মাহমুদুল ইসলাম অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে বহু মত পেশ করেছেন।

১৯৩৬ সালে রংপুরে জন্মগ্রহণ করেন মাহমুদুল ইসলাম। কারমাইকেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে আইনের ওপর ডিগ্রি নেন। তার বাবা আজিজুল ইসলামও ছিলেন রংপুরের প্রথিতযশা আইনজীবী। মাহমুদুল ইসলাম প্রথমে রংপুর জেলা বারে আইন পেশা শুরু করার পর হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

মাহমুদুল ইসলামের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক শোকবাণীতে স্পিকার বলেন, তার মৃত্যুতে দেশ একজন বিশেষজ্ঞ আইনজীবীকে হারালো। তার মৃত্যু দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি এবং এ ক্ষতি কোনভাবেই পূরণ হওয়ার নয়।

এছাড়া সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এডভোকেট মাহমুদুল ইসলামের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো: ফজলে রাব্বী মিয়া ও চীফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। বাসস।

/এফএস/