টিকিট কালোবাজারি: রেলের অসাধু কর্মচারীদের খুঁজছে র‍্যাব

টিকিট কালোবাজারিতে জড়িত রেলের বেশ কয়েকজন অসাধু কর্মচারীর বিষয়ে তথ্য পেয়েছে র‍্যাব। এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন। রাজধানীর (৯ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে টিকিট কালোবাজারি সাথে জড়িত অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পায় র‍্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

এর আগে, বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশনে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো—চক্রের প্রধান উত্তম দাস (৩২), তার সহযোগী মো. ইলিয়াস (৫৯), খোকন মিয়া (৫৫), ও শাহ আলম (৩৪)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪২টি টিকিট, তিনটি মোবাইল ফোন, একটি সিম কার্ড এবং নগদ ১৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর টিকাটুলিতে র‍্যাব-৩ ব্যাটেলিয়ানের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে টিকিট কালোবাজারি চক্রের সদস্যরা বারবার ধরা পড়ছে। তারা কিছুদিন পর জেল খেটে আবার জামিনে বের হয়ে আসছে। জামিনে বের হয়ে এসে আবার একই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা।সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন

তিনি বলেন, সাপ্তাহিক ও বিভিন্ন ছুটিকে কেন্দ্র করে চক্রগুলো সক্রিয় থাকে টিকিট কালোবাজারিতে। কমলাপুর এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশনে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য আসা যাত্রীদের কাছে দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে এসব টিকিট বিক্রি করে থাকে চক্রের সদস্যরা। এছাড়া ঈদ কিংবা বড় কোনও ছুটি থাকলে টিকিট কালোবাজারিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে চক্রের সদস্যরা। এই চক্রের প্রতিটি গ্রুপে পাঁচ থেকে সাত জন সদস্য রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গ্রেফতার উত্তম ২০১৮ সাল থেকে টিকিট কালোবাজারির সাথে জড়িত। এর আগেও একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সে ধরা পড়েছিল। বেশ কয়েকবার জেল খেটেছে। গ্রেফতার খোকন মিয়ার বিরুদ্ধে টিকিট কালোবাজারিসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। সেও একাধিকবার জেল খেটেছে। গ্রেফতার শাহ আলম এর আগেও র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল। গত ঈদুল আজহা এবং ঈদুল ফিতরের সময় র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিল শাহআলম। জামিনে বের হয়ে তারা আবার একই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।