বিবার্তা ও জাগরণ টিভির অফিসে হামলাকারীদের বিচার দাবি

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিবার্তা২৪ডটনেট ও জাগরণ আইপি টিভির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও চুরির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে প্রতিষ্ঠান দুটির সুহৃদ ও স্বজনরা।

এ সময় বক্তারা বলেন, গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলার চেয়ে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো হামলার অভিযোগ থানায় গ্রহণ না করা। আর সন্দেহভাজনদের কথা উল্লেখ করে মামলা করতে গেলেও তিন দিনে মামলা গ্রহণ করা হয়নি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।

রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিবার্তা ও জাগরণ টিভির সুহৃদ ও স্বজনদের উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।

মানববন্ধনে বিবার্তার সম্পাদক বাণী ইয়াসমিন হাসি বলেন, ‘রাতের আঁধারে বিবার্তা ও জাগরণ  টিভির অফিসে ভাঙচুর ও চুরি করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা বঙ্গবন্ধুর ছবিও ভাঙচুর করেছে। এ ধরনের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তিদের দ্বারাই সম্ভব। গণমাধ্যমের অফিসে হামলার মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা স্বাধীন সাংবাদিকতার পথ রুদ্ধ করে দিতে চায়।’

জাগরণ টিভির প্রধান সম্পাদক এফ এম শাহীন অভিযোগ করে বলেন, ‘জামায়াতের পৃষ্ঠপোষক বিএনপি নেতা পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলামের নির্দেশে বিবার্তা-জাগরণ অফিসে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলা দেশের জন্য অশনি সংকেত।’

বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যে অবিলম্বে এই ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’

ডিইউজের কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আজ বিবার্তা ও জাগরণ আইপি টিভির কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। কাল যে আরেকটি গণমাধ্যমের ওপর হামলা হবে না, তার কী নিশ্চয়তা? এই দায়ভার কে নেবে? আর আজ পুলিশ প্রশাসনও পরিকল্পিতভাবে একটি পক্ষ নিচ্ছে! ভাবা যায়? আমরা কোথায় আছি? অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।’

এই মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ,  সিনিয়র সাংবাদিক শাহনেওয়াজ দুলাল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য শাহনাজ পলি, সাংবাদিক নেতা শেখ মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মোমিন মেহেদী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি আবির রায়হানসহ প্রমুখ।