রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে আরও একজনের সাক্ষ্য

গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় ইসলামি বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে বাদশা নামে আরও একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বুধবার (১ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সাক্ষ দেন বাদশা। তার সাক্ষ্য শেষে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। জেরা শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৭ মে দিন ধার্য করেছেন।

এদিন আরও তিন মামলায় রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তবে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেননি। এজন্য বিচারক আগামী ১৭ মে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।

রফিকুল ইসলামের আইনজীবী মো. ফজলে রাব্বী এ তথ্য জানান।

২০২১ সালের ৭ এপ্রিল ভোরে রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল সৈয়দ আদনান শান্ত নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় রফিকুল ইসলামসহ পাঁচ জনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। একই বছরের ১৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম।

একই অভিযোগে ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রফিকুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন র‌্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। ২০২১ সালের ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন র‌্যাব-১ এর সিনিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল হক।

২০২১ সালের ১১ এপ্রিল মো. মামুন নামের একজন বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন। ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল গাজিপুরের বাসন থানায় মামলা করেন মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. সাখাওয়াত হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, রফিকুল ইসলাম মাদানী ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন। দেশের সাধারণ মানুষ এসব বক্তব্যের কারণে বিভ্রান্ত হচ্ছেন।