ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড শুরু ১৫ মার্চ

স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা অর্জন করলেও তাদের দক্ষতা অর্জন হচ্ছে না। গতানুগতিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জন এখন সময়ের দাবি। এ জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সারা দেশে সকল স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আগামী ১৫ মার্চ শুরু হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩ প্রতিযোগিতা।

সোমবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আইটেসারেক্ট টেকনোলজিস আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিথিরা।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দক্ষতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আসন্ন চ্যালেঞ্জ ও পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণে ছাত্রীদের সচেতনতা ও দক্ষতা উন্নয়নে উৎসাহিত করাই ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের মিশন ও ভিশন।

আর এ লক্ষ্যেই আগামী ১৫ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩ প্রতিযোগিতা।

আয়োজকরা জানান, তিনটি রাউন্ডে আটটি ভিন্ন বিষয়ে ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য পুরস্কার জেতার সুযোগের কথাও জানান তারা। প্রতিটি বিভাগের প্রথম পুরস্কার দুই লাখ টাকা,  প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপের জন্য যথাক্রমে এক লাখ ও ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার থাকছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্টিম অলিম্পিয়াড সময়োপযোগী পদক্ষেপ। স্টিম সাইন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্ট এবং ম্যাথম্যাটিকসের সমন্বয়। আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যাতে একটি গুণগত পরিবর্তন আসে, প্রতিযোগিতামূলক হয়, ক্রিয়েটিভ থিংকিং, গবেষণা উদ্ভাবন যেন তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এজন্য কাজ করে যাবো। নতুন বাস্তবমুখী বিজ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে আমাদের নতুন প্রজন্ম যেন নতুনভাবে গড়ে ওঠে—তার জন্যই আমাদের এই যাত্রা মার্চ মাসে শুরু হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এবার সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে এটি। প্রতি বছর আয়োজন করা হবে। আমাদের দেশে অনেক ধরনের অলিম্পিয়াড আছে। স্টিম অলিম্পিয়াড সব কিছুকে ধারণ করবে। সবকিছুকে ধারণ করে আমরা এগিয়ে যাবো।

ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের উদ্দেশ্য

তরুণদের মধ্যে স্টিম সচেতনতা বৃদ্ধি ও দক্ষ জাতি গঠনে সহায়তা করা; কল কারখানা ও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগানোর মাধ্যমে ব্যাপক উন্নতি সাধনে তরুনদের উপযোগী করে তোলা; স্টিম (সারেন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্টস, ম্যাথম্যাটিকস) সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে উচ্চ শিক্ষা, সমস্যা সমাধান, উদ্ভাবন ও গবেষণায় ছাত্রছাত্রীদের উদ্বুদ্ধ করা; শিক্ষার্থীদের স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ রূপকল্প বাস্তবায়নে অবদান রাখতে অনুপ্রেরণা দেওয়া; এবং শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে ব্যবহারিক শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলার পাশাপাশি মানবিক ও দায়িত্বশীল হতে সহায়তা করা।

ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে থাকছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এম.পি. এবং প্রধান উপদেষ্টা ও আহ্বায়ক হিসেবে থাকছেন প্রখ্যাত বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহজাহান মাহমুদ, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, এ.ডি.এন. গ্রুপের চেয়ারম্যান আসিফ মাহমুদ, স্মার্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম, ডেলের কান্ট্রি ডিরেক্টর আতিকুর রহমান।

ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নিয়মাবলী ও অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে ওয়েবসাইটে (www.nationalsteamolympiad.com)।