‘মানবপাচার মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন’

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দাসত্ব, যৌন নিপীড়ন, অঙ্গ প্রতিস্থাপনসহ নানা উদ্দেশ্যে নারী ও শিশুসহ অরক্ষিত জনগোষ্ঠীকে পাচার করা হয়। এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

সোমবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মাদক ও অপরাধ বিষয়ক জাতিসংঘের অফিস ইউএনওডিসি (ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম) এবং ইন্টারন্যাশনার অরগানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে মানবপাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান বিষয়ক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মাদক এবং অপরাধ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কোর্স থাকা জরুরি। এজন্য আগে শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করতে হবে। এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যেই আজকের এই আয়োজন। এ কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষকরা মানবপাচার ও অভিবাসী চোরাচালান বিষয়ে তাদের জ্ঞান বাড়াতে পারবেন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর বিশ্বে এক দশমিক দুই মিলিয়ন শিশু পাচারের শিকার হয়। এর প্রধান কারণ অনিরাপদ অভিবাসন।’

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন– বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান। কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা মানবপাচার ও অভিবাসী চোরাচালান বিষয়ক শিক্ষকদের জন্য প্রস্তুতকৃত গাইডের মোড়ক উন্মোচন করেন।