মিরপুর থেকে নিখোঁজ ৪ ছাত্রী, থানায় জিডি

রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বর এলাকা থেকে চার ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। তাদের মধ্যে তিন জন মাদরাসা ও একজন হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় এক ছাত্রীর বাবা ২৮ মার্চ ডিএমপির কাফরুল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান নিখোঁজ ও জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, নিখোঁজ চার শিক্ষার্থীর কারও কাছে মোবাইল ফোন নেই। এ জন্য সহজে তাদের ট্রেস (অবস্থান শনাক্ত) করা যাচ্ছে না। আমরা কাজ করছি। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে, তারা মিরপুর ১৩ নম্বরের সরদার বাড়ির মোড়ে একত্র হয়। এরপর একসঙ্গে রওনা হয়। কিন্তু কোথায় গিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।

তিনি আরও জানান, নিখোঁজ ছাত্রীরা সবাই বান্ধবী। তাদের মধ্যে একজন বিবাহিত। সে একই এলাকায় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করতো বলে জানা গেছে। সে একটি হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং বাকি তিন জন মিরপুর ১৩ নম্বরে একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী।

নিখোঁজ ওই ছাত্রীর বাবা জিডিতে উল্লেখ করেন, গত ২৮ মার্চ (মঙ্গলবার) সকালে মাদরাসায় যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয় তার মেয়ে। দুপুরের পর তিনি জানতে পারেন তার মেয়ে মাদরাসায় যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারেন মেয়ের আরও তিন বান্ধবী একই কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছে। তারাও তাদের পরিবারের কাছে ফেরেনি।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, তার মেয়ের মধ্যে কোনও ধরনের পরিবর্তন দেখেননি। নামাজ পড়া, পর্দা করার মতোও কিছু পাননি। তার বাসায় স্মার্টফোন নেই। তবে তার মেয়ে বান্ধবীদের বাসায় গিয়ে আড্ডা দিতো। তাদের বাসায় স্মার্টফোন ছিল। চার বান্ধবী খুবই ঘনিষ্ঠ ও সারা দিন আড্ডা দিতো বলে জানান তিনি।

নিখোঁজ অন্য এক শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, আমার মেয়ে এক বান্ধবীর বাসায় সবচেয়ে বেশি আড্ডা দিতো। তার বাসা আমাদের বাসার কাছাকাছি। তার মোবাইলে টেলিগ্রাম নামের একটি অ্যাপ দিয়ে কথা বলতো।

তিনি আরও বলেন, তারা জঙ্গিবাদ বা অন্য কারও হাতে পড়লো কি না তা বুঝতে পারছি না। কারণ, তাদের আচরণে কোনও পরিবর্তন দেখিনি।

ওসি হাফিজুর বলেন, তারা টিকটক ব্যবহার করতো না। তারা মানবপাচারকারীর হাতে পড়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি। জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে পালিয়েছে কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে। এ জন্য আমরা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে (সিটিটিসি) চিঠি দিয়েছি। তারাও এ বিষয়ে কাজ করবে।