জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে নৌ র‍্যালি

‘করলে জাটকা সংরক্ষণ বাড়বে ইলিশের উৎপাদন’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১ থেকে ৭ এপ্রিল ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩’ উদ্‌যাপন করছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে শনিবার (১ এপ্রিল) পিরোজপুর সদর উপজেলার হুলারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচির উদ্বোধন এবং লঞ্চঘাট সংলগ্ন কচা নদীতে নৌ র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। নৌ র‍্যালিতে অংশ নেয় বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ মেঘনা।

আইএসপিআর জানায়, এই কর্মসূচির আওতায় নৌবাহিনী জাহাজ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদী এবং সংশ্লিষ্ট ইলিশ প্রজনন এবং জাটকা বিচরণ এলাকায় জাটকা সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা করবে।

এর আগে উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পিরোজপুরের সংসদ সদস্যরা, স্থানীয় জেলা প্রশাসন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদফতর, নৌবাহিনী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জেলেদের জাটকা আহরণে নিরুৎসাহিত করতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ দায়িত্ব পালনে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় ২০০০ সাল থেকে অদ্যাবধি নৌবাহিনী জাহাজ, হেলিকপ্টার এবং কন্টিনজেন্ট মোতায়েন করে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্থানীয় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে উক্ত অভিযান পরিচালনা করে থাকে।

বর্তমানে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালি, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, পিরোজপুর, চাঁদপুর ও বরগুনা জেলায় উক্ত জাটকা সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা করছে। নিয়মিতভাবে পরিচালিত এ অভিযানে নৌবাহিনীর ৮টি জাহাজ ও প্রায় তিন শতাধিক নৌসদস্য অংশগ্রহণ করছে।

২০২২ সালে নৌবাহিনী পরিচালিত অভিযানে ১০টি অবৈধ বোট, ২০ জেলে এবং প্রায় ২৭৬ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৬ কোটি ৭৬ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয়।