বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ পদ্ধতিতে টোল আদায় শুরু

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে (ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ পদ্ধতিতে টোল আদায় শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (১৯ এপ্রিল) টোল প্লাজার একটি করে লেইনে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সুবিধা চালুর ফলে যানবাহনগুলোকে টোল প্লাজায় আটকে থাকতে হবে না।

সড়ক পরিবহন ও জনপথ অধিদফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে এই মহাসড়কের ধলেশ্বরী সেতু এবং ভাঙ্গা টোল প্লাজার একটি করে লেইনে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল নেওয়া হচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবা উপায়ের মাধ্যমে এই টোল কেটে রাখা হচ্ছে। বিআরটিএ থেকে নিবন্ধিত সব যানবাহনের তথ্য ফাস্ট ট্র্যাকের সিস্টেমে রাখা আছে। ফাস্ট ট্র্যাকের জন্য নির্ধারিত লেইনে সেন্সর বসানো আছে। একটা গাড়ি যখন যাবে তখন সেন্সর গাড়ির ডিজিটাল নম্বর প্লেট অনুযায়ী সেটি কী ধরনের যানবাহন, তা শনাক্ত করবে। সে অনুযায়ী নির্ধারিত টোলের টাকা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কেটে নেবে। এছাড়া উপায় অ্যাপের মাধ্যমে ১০ শতাংশ ছাড়ে এই সুবিধা নিয়ে দ্রুত টোল প্লাজা অতিক্রম করা যাবে।

সড়ক পরিবহন ও জনপথ অধিদফতর জানিয়েছে, এছাড়া আরএফআইডি কার্ড গাড়ির উইনশিল্ডে লাগানো থাকলে তাও শনাক্ত করে টোল কেটে নেওয়া হয়। এজন্য মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবস্থা উপায়-এ পর্যাপ্ত টাকা থাকতে হবে। মোবাইল অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে টোল প্লাজার ব্যারিয়ার উঠবে না। দেশে মেঘনা এবং মেঘনা গোমতী সেতুতে এ পদ্ধতিতে টোল আদায়ে আলাদা লেইন রয়েছে। এখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে (ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে) তা চালু হল।

উল্লেখ্য, ইলেক্ট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) বা স্বয়ংক্রিয় টোল সংগ্রহ ব্যবস্থা এমন একটি ডিজিটাল প্রযুক্তি যা বাধাহীনভাবে যানবাহনকে টোল প্রদানের মাধ্যমে টোল প্লাজা অতিক্রম নিশ্চিত করে। এই প্রযুক্তির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধা হল- এটি টোল প্লাজা নিকটস্থ যানজট হ্রাস করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে দেশের প্রথম আধুনিক মহাসড়ক। এই মহাসড়ক পদ্মাসেতু হয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২টি জেলার সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ স্থাপন করেছে। সার্ভিস লেনসহ ছয় লেনের এই সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার কোটি টাকা। এই সড়কে ৪৪টি কালভার্ট, ১৯টি আন্ডারপাস, চারটি বড় সেতু, ২৫টি ছোট সেতু, পাঁচটি ফ্লাইওভার, দুটি ইন্টার চেইন, চারটি রেলওয়ে ওভারপাস রয়েছে। গত বছরের ১১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মহাসড়ক উদ্বোধন করেন।