সুস্থ থাকলে নজরুল ‘অগ্নিবীণা’ বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করতেন: ঢাবি ভিসি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নজরুল যে মর্মবাণী, সেটি হলো সাম্প্রদায়িক ও মানবিক সমাজ, একটি সাম্যের সমাজ। সেটি প্রতিষ্ঠা করার যে অবারিত প্রয়াস, সেটি আমাদের রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে কাজী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবি সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, মানবতার কবি, সাম্যের কবি, ভালোবাসার কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। যুগে যুগে তার অসামান্য অবদানের জন্য তাকে শ্রদ্ধাবরে স্মরণ করছি। নজরুল তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’, যাকে উৎসর্গ করেছেন, সেটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই বারীন্দ্র কুমার ঘোষ ছিলেন তৎকালীন সমগ্র ভারত ও বাংলার মহানায়ক। আমরা ধারণা যদি তিনি (নজরুল) সুস্থ থাকতেন এবং তার (বঙ্গবন্ধু) বয়স সেই রকম হতো, যা হয়েছিল চল্লিশের দশকে, তিনি সেই সময়ে যে অসামান্য অবদান রেখেছেন, কবি নজরুল হয়তো এই কাব্যগ্রন্থটি বঙ্গবন্ধুর নামেই উৎসর্গ করতেন। কেননা একটি জাতির রাষ্ট্র সৃষ্টির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু যে অবদান রেখেছেন, কাজী নজরুল তার এই কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গের জন্য সব বৈশিষ্ট্য বঙ্গবন্ধুর মাঝে খুঁজে পেতেন।

কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি খিলখিল কাজী খিলখিল কাজী

পরিবার থেকে শ্রদ্বা নিবেদন শেষে কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি খিলখিল কাজী বলেন, তিনি আজীবন মানুষের জায়গান গেয়েছেন, সবাইকে একই গাছের তলায় এনে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন এবং ভীষণভাবে অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ ছিলেন তিনি। অন্যায়ের প্রতিবাদে মুখর ছিল তার লেখনী। ১৯৪২ সালে যদি তিনি অসুস্থ না হতেন, তাহলে হয়তো আমরা তার আরও ক্ষুরধার লেখা পেতাম। আজ যেসব জাতিগত বিবেদ দেখা যাচ্ছে, কাজী নজরুল ইসলাম বেঁচে থাকলে সেগুলো হতো না। বেঁচে থাকলে তিনি সমাজটাকেই বদলে দিতেন।

তিনি আরও বলেন, তাকে জাতীয় কবি বলা হলেও আমরা তাকে সব পর্যায়ে পৌঁছাতে পারিনি। পশ্চিমবঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনটি ছুটি ঘোষণা করা হয়। আমি অনেক ধরে কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনটি ছুটি ঘোষণার কথা বলে আসছি।

এদিন সকালে আরো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বাহাউদ্দীন নাছিম, বিএনপির পক্ষ থেকে যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের বিভিন্ন হল, বাংলা একাডেমি, ঢাকা নজরুল সেনা, ছাত্রলীগসহ আরও অনেকে।