ওয়াটার বাস উদ্ধার করে কিনারে এনেছে ‘রুস্তম’

রাজধানীর সদরঘাট এলাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটি উদ্ধার করে কিনারে এনেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’। এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে।

সদরঘাট নৌথানার এসআই হাসান মারুফ বলেন, ‘উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তমের সাহায্যে ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসটিকে টেনে পোস্তগোলা ব্রিজের দিকে নেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাতের পর এখন পর্যন্ত আর কোনও মরদেহ বা জীবিত কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। উদ্ধার কাজ চলমান।’

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত নিহত তিন জনের মধ্যে দুই জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। পরিচয় পাওয়া দুই জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা হলেন, কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার মো. বাবু মিয়ার ছেলে মো. আলিফ (১৪) ও দোহারের জয়পাড়ার সবুজের ছেলে মো. ফাহিম (২০)। এছাড়া অজ্ঞাত আনুমানিক ৫৫ বছর বয়সী একজনের মরদেহ মিডফোর্ট হাসপাতালের হিমাগারে রাখা আছে।

তিনি আরও জানান, ‘এখন পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে সাত জনকে। এদের মধ্যে ৪ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন সামিরা, মুনছুর আলী, মোছা. মিমি ও বিল্লাল। তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর অজ্ঞাত তিন জন রাতেই চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরে গেছেন।’

উদ্ধারকাজে বিভিন্ন বাহিনীর তৎপরতা (ছবি: সংগৃহীত)

এর আগে রবিবার (১৬ জুলাই) রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর শ্যামবাজার থেকে কেরানীগঞ্জের তেলেরঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীর অংশে বালুবাহী বলগেটের ধাক্কায় যাত্রীসহ একটি ওয়াটার বাস ডুবে যায়। এ সময় অনেকে সাঁতার কেটে তীরে পৌঁছান। তবে এখনও অনেকে নিখোঁজ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে উদ্ধারকারীরা ডুবে যাওয়া ওয়াটার বাসের তিন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে।

বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের স্থানীয় ডুবুরি ইউনিটসহ নৌপুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে। পরে বিআইডব্লিউটিএর টাগ জাহাজ ‘অগ্রদুত’ ও ‘বালু’ এবং ফায়ার সার্ভিসের ‘অগ্নি শীতলক্ষ্যা’ জাহাজ তাদের কার্যক্রম শুরু করে।

আরও পড়ুন:

বুড়িগঙ্গায় যাত্রী নিয়ে ডুবে গেছে ওয়াটার বাস, ৩ জনের লাশ উদ্ধার