জনসংখ্যা রফতানিতে ‘আনঅফিসিয়াল গ্রুপ’ রিক্রুটিং এজেন্সির আওতায় আসবে

‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসন আইন (সংশোধন), ২০২৩’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘প্রত্নসম্পদ আইন, ২০২৩’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৭ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসন আইন (সংশোধন), ২০২৩’ এ অভিবাসনের সঙ্গে জড়িত ‘আনঅফিসিয়াল গ্রুপগুলোকে’ রিক্রুটিং এজেন্সির আওতায় আনার বিধান রাখা হয়েছে।  অভিবাসন কার্যক্রমের সঙ্গে আমাদের আনঅফিসিয়ালি একটি গ্রুপ জড়িত থাকে, যাদের কোনও কাঠামোর মধ্যে আনা যাচ্ছিল না। তাদের ম্যানেজ কিংবা রেগুলেট করাও যাচ্ছিল না। এখন তাদের সাব-এজেন্ট কিংবা প্রতিনিধি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হবে। এতে তারা কোনও না কোনও রিক্রুটিং এজেন্সির আওতায় আসবে।’’

তিনি বলেন, ‘তারা একটি সুনির্দিষ্ট বিধির আওতায় চিহ্নিত থাকবে এবং তারা নিবন্ধিত থাকবে। তাদের এখন রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্কে নিয়ে  আসা হবে। এছাড়া রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে যখন কোনও অভিযোগ থাকবে, এখনকার আইনে সেসব অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা আছে। কিন্তু নতুন আইনে বিশ্বাসযোগ্য মাত্রায় অভিযোগ থাকলে লাইসেন্স বাতিল নয়, সাময়িক স্থগিত করা যাবে।’

মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এ আইনে কিছু শাস্তির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যদি কেউ অননুমোদিতভাবে শাখা বা এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে, তখন তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে।’