অ্যাম্বুলেন্স বদলে সাঈদীর মরদেহ পাঠানো হয়েছে পিরোজপুর

মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমিরের দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্স পরিবর্তন করে অন্য অ্যাম্বুলেন্সে পিরোজপুর পাঠিয়েছে পুলিশ। চাকা পাংচার এবং গ্লাস ভেঙে যাওয়ার কারণে হাসপাতালের ভেতর থেকে ঠেলে বাইরে বের করে অন্য অ্যাম্বুলেন্সে লাশ উঠিয়ে পাঠায় পুলিশ সদস্যরা। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সের পাশে ছিল পুলিশি নিরাপত্তা। এর আগে ভোর ৩টার পর হাসপাতাল থেকে লাশ অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হলেও জামায়াত নেতাকর্মীদের বাধার মুখে অ্যাম্বুলেন্সটি বের করতে পারেনি পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, পুলিশ সদস্যরা জামায়াতের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সহায়তা চাইলেও নেতাকর্মীরা মরদেহ নিয়ে যেতে সহায়তা করেনি। তারা অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে দেয়। এ সময় নেতাকর্মীরা দাবি করে রাজধানীতে যেন একটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং সেটি দিনের বেলায়। বেশ কয়েক দফা পুলিশ সদস্যরা নেতাকর্মীদের বুঝিয়ে ব্যর্থ হলে ফজরের নামাজের আগে তারা চলে যায়। পরবর্তীতে ভোর ৫টার কিছু পর তারা হাসপাতালে বাইরে থেকে টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। এতে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করতে থাকে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ যাতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহসহ অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ে যেতে না পারে সে জন্য জামায়াতের নেতাকর্মীরা চাকা পাংচার করে দেয় এবং সামনের গ্লাস ভাঙচুর করে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, হাসপাতালের ভেতর অবস্থান করা জামায়াতের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়া হয়। এছাড়া হাসপাতালের বাইরে অবস্থান করা নেতাকর্মীরা আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর চালায়।

ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ সদস্যরা পাংচার হওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি নিজেরা ঠেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ভেতর থেকে বাইরে নিয়ে আসেন। শাহবাগ মোড় পেরিয়ে বারডেম হাসপাতালের সামনে ঠেলে আনার পর অন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সে সাঈদীর মরদেহ তুলে দেন। পরবর্তীতে সেই অ্যাম্বুলেন্সটি পুলিশি নিরাপত্তায় পিরোজপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়।

শাহবাগ মোড়ে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।